রাজশাহীর তানোরে রাব্বানী-মামুন কি আওয়ামী লীগ ছাড়লেন ! ||Rajshahirdorpon24
রাজশাহীর তানোরে রাব্বানী-মামুন কি আওয়ামী লীগ ছাড়লেন ! |
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের (দায়িত্বহীন) সভাপতি গোলাম রাব্বানী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে ফের তৃণমুলের নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে, বিরাজ করছে অসন্তোষ জনমনেও মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়, প্রশ্ন উঠেছে তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও অবস্থান নিয়েও আসলে তারা সত্যি কি আওয়ামী লীগের আদর্শে বিশ্বাসী, আওয়ামী লীগ ছাড়লেন, না নেপথ্যে ভিন্ন কিছু রয়েছে।
তানোরের পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আমির হোসেন আমিনের মনোনয়নপত্র উত্তোলন ও দাখিলের সময় রাব্বানী ও মামুন উপস্থিত হয়নি, নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনেও তারা উপস্থিত হয়নি, বাঙগালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য্য ভাঙার বিরুদ্ধে তাদের কোনো কর্মসুচি বা প্রতিবাদ না থাকায় তাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে এসব ক্ষোভ-অসন্তোষ ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃস্টি এবং গুন্জনের সুত্রপাত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয়রা বলছে, মেয়র পদে নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর কাছে দুরুত্ব থেকে বা বাঙগালী জাতির জনক ও মহান স্বাধীনতার স্থপত্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য্য ভাঙার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী-সমর্থকসহ সারাদেশের মানুষ যখন বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসুচি দিয়ে চলেছে। অথচ এখানো এই দুই নেতা ঘরে কাঁথামুড়ি দিয়ে টেলিভিশনের পর্দায় ফর্মুলা ওয়ান দেখে সময় কাটাচ্ছে,এসব কর্মসুচিতে তাদের অনুগতদেরও দেখা মিলেনি। এমনকি এরা প্রতিবাদ কর্মসুচি তো পরের কথা নিন্দা জানিয়ে একটি লিখিত প্রতিবাদ লিপি বা বিবৃতিও দেননি। সাধারণের প্রশ্ন কেনো তাদের এই নিরবতা যাদের রক্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে বা যারা আদর্শিক আওয়ামী লীগ তারা তো নিরব থাকতে পারে না। তাহলে নিরবতা সম্মতির লক্ষন এই ক্ষেত্রেও সেটা কি এসব হাজারো প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
স্থানীয়রা বলছে, কদিন আগেই আদর্শিক ও মুলধারার নেতা দাবী করে এদের কি মায়াকান্না কচুয়া, উৎকুড়াহরিসপুর, হরিদেবপুরসহ বিভিন্ন এলাকার আনাচে-কানাচে বহিরাগত আঁচু-পাঁচু নেতা ও ভাড়াটিয়া মানুষ এনে দলীয় কর্মসুচির নামে স্থানীয় সাংসদের বিরুদ্ধে বিষোদাগার করে বলে একাদিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। তাদের এসব দেখে মনে হচ্ছে পৌর নির্বাচন ও তাদের কাছে জাতির পিতার অবমাননা কোনো ঘটনাই না।
এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের দদায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি
No comments