তানোরে সসস্ত্র পাহারা বসিয়ে অবৈধ পুকুর খনন ||rajshahirdorpon24
ফাইল ফটো |
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তনোরে নীতিমালা লঙ্ঘন,গ্রামবাসীর বাধা উপেক্ষা ও রাতে পুকুর পাড়ে সসস্ত্র পাহারা বসিয়ে
ফসলী জমিতে প্রায় ৫০ বিঘা আয়তনের অবৈধ পুকুর খননের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তানোরের কাঁমারগা ইউপির নেজামপুর মাঠে এসব পুকুর খনন করা হচ্ছে। এসব পুকুর খনন করা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা ও বিস্ফোরণ মুখ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এদিকে ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে গ্রামবাসীর পক্ষে সুজন কুমার বাদি হয়ে তানোর থানায় লিখিত অভিযোগ করে অনুলিপি রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রাজশাহী পুলিশ সুপার ( এসপি) বরাবর প্রেরণ করেছেন। কিন্ত্ত রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসন বা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা পুকুর খনন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। স্থানীয়রা বলছে, অবৈধ এই পুকুর খনন করা হলে বর্ষা মৌসুমে আশপাশের কম পক্ষে ১০ গ্রামের মানুষ বন্যার শিকার হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে প্রশাসনের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে তারা এসব অপকর্ম করছে।
গতকাল সরেজমিন নেজামপুর গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ কুমারের পুত্র কাজল কুমার জানান, পুকুরের মাঝে তার দুই বিঘা ফসলী জমি রয়েছে, মৃত দ্বিজেনের পুত্র জগদিসের ২২ কাঠা, গোকুল কুমারের ১২ কাঠা, সুজন কুমারের ২৫ কাঠা, প্রবিল্য কুমারের ৮ কাঠা,ব্রজেন দাসের ১০ কাঠা,হরেন কুমারের ৫ কাঠা, বিজনের আড়াই বিঘাসহ আরো অনেকের জমি রয়েছে পুকুরের মাঝে। কিন্ত্ত তাদের জমির টাকা না দিয়ে কৌশলে তাদের জমির চারিদিকে খনন করা হচ্ছে। সুজন কুমার বলেন, তারা বাধা দিতে গেলে উল্টো তাদের হাত-পা কেটে নেয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রতিদিন রাতে ১০ থেকে ১৫ জন যুবক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাহারা দিয়ে পুকুর কাটা হচ্ছে, এতে গ্রামবাসী দিতে পারছেন না, আবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। এবিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর মালিক কেশরহাট এলাকার প্রসিদ্ধ মাছ ব্যবসায়ী সাদিকুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত বছর তারা সেচ্ছায় জমি ইজারা দিয়েছে। তিনি বলেন, গত বছর পুকুর কাটতে পারেন নি এ বছর পুকুর কাটা শুরু করলে তারা ফের জমির টাকা দাবি করছে।
তিনি আরো বলেন, সকলের সঙ্গে সমঝোতা করেই পুকুর খনন করা হচ্ছে।এবিষয়ে তানোর থানার অফিসার ইন্চার্জ ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হবে। এব্যাপারে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামিমুল ইসলাম বলেন, কৃষি জমিতে পুকুর খননের কোনো সুযোগ নাই।
No comments