বাঘা বাজারে রাস্তা সংলগ্ন গাছের মরা ডালে বিপদাংশকা,সম্ভাব্য বিপদের ঝুঁকিগুলো একদমই বিবেচনায় আসেনি! ||Rajshahirdorpon24
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
বাঘা পৌর বাজারের ভেতর দিয়ে চলাচলের সড়ক সংলগ্ন কড়ই গাছটির একটি মরা ডাল এখন সবার জন্য বিপদের ঝুঁকি। ডালটি ভেঙ্গে পড়ার ভয়ে বেশিক্ষন অপেক্ষা করারও সুযোগ নেই সেই গাছের নীচে। দেখলেই মনে হবে, যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে গড়িমসি করবেনা। একটা আশ্রয়ের আশায় ছুটেও কুল পাওয়া যাবেনা। এমন পরিবেশে সম্ভাব্য বিপদের ঝুঁকিগুলো একদমই বিবেচনায় আসেনি!
কড়ই গাছের নীচে চায়ের দোকানে নির্জনতায় আড্ডায় বসে গাছটির মরা ডাল দেখে দুই বন্ধুর একজন আরেক বন্ধুকে তাড়া দিয়ে বললো, মনে হচ্ছে কিছু একটা ঘটতে পারে। শিগগির গোটান। এক্ষুণি রওনা দিতে না পারলে ঘনঘোর বিপদ। যাওয়ার আগেই চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে শেষ করতে পারত। কিন্তু কড়ই গাছের সেই মরা ডাল ভেঙে পড়ার ভয়ে সেখান থেকে শটকে পড়েন তারা। অন্যরা তা দেখে আর বসে থাকতে চাইলেননা। বিপদ এড়িয়ে যাবে না ভেবে চায়ের দোকানে আড্ডায় বেশিক্ষণ পাল্লা দেওয়া গেল তাদের। ওই গাছের মরা ডালটি ভেঙে পড়ার আতংক এখন সবার কাছে । যে কোন সময় ভেঙে পড়ে প্রাণহানির ঘটনা ও ঘটতে পারে।
জানা গেছে,প্রায় ৩৫বছর আগে বাঘা পৌর বাজারের ভেতর দিয়ে চলাচলের সড়ক সংলগ্ন গাছটি লাগানো হয়েছিল। অযতœ অবহেলায় সেই গাছটির ডাল মরতে বসেছে। চায়ের দোকানটাও যাতায়াতের পাকা রাস্তা সংলগ্ন। সাপ্তাহিক হাট বার ছাড়াও লোকজন দোকানপাট নিয়ে বসে সেই পাকা সড়কের ধারের গাছের তলায়। কিছু একটা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
চা দোকানি সাইদুর রহমান জানান, ডালটি এখন সবার জন্য বিপদের ঝুঁকি। যা অনেক আগেই ঘটার কথা।
বাজার কমিটির সহিদুল ইসলাম জানান, ডালটি কাটার জন্য ১মাস আগে উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নিকট লিখিতভাবে আবেদন করা হয়েছে। এর চেয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত আর কি হতে পারে? উপজেলা নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজা জানান,বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নিবেন।##
No comments