বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আলোচনা সভা ||rajshahirdorpon24
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি ঃ
গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান ও তাদের স্বজনদের প্রতি সহমর্মিতা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে,বাঘায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪-১২-২০) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে নির্বাহি অফিসার শাহিন রেজার সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু,উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম,অধ্যক্ষ নছিম উদীন,চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার এবিএম সানোয়ার হোসেন,সাংবাদিক নুরুজ্জামান প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন,সহকারি কমিশনার (ভ’মি) কামাল হোসেন,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আকতারুজ্জামান,মৎস্য অফিসার আমিরুল ইসলাম, নির্বাচন অফিসার মুজিবুল আলম,আনসার ভিডিপি অফিসার মিলন দাসসহ উপজেলার দপ্তর প্রধান,শিক্ষক,জনপ্রতিনিধি,সুশিল সমাজের নের্তৃবৃন্দ ও গনমাধ্যম প্রতিনিধিরা।
বক্তারা বলেন, জাতিকে শতবছর পিছিয়ে রাখার জন্য হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরু থেকেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যে হত্যাযজ্ঞের সূচনা করেছিল, পরাজয়ের আগমুহূর্তে তা রূপ নেয় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের পরিকল্পিত হত্যাকান্ডে। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা তখন তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় বেছে বেছে হত্যা করেছিল জাতির অগ্রণী শিক্ষক, লেখক, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের।
পরাজয় নিশ্চিত জেনে তারা চেয়েছিল স্বাধীনতার পথে এগিয়ে যাওয়া দেশটিকে মেধায়-মননে পঙগু করে দিতে।
বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পিত ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগী শক্তি রাজাকার, আলবদর ও আলশামস বাহিনীর সদস্যদের সক্রিয় সহযোগিতার কারণেই এতটা ব্যাপক ও পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ চালানো সম্ভব হয়েছিল। এই বাহিনীগুলোর সদস্যরাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুদ্ধিজীবীদের উঠিয়ে এনে; তুলে দিয়েছেন পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজেরাই হত্যাযজ্ঞ সম্পন্ন করেছেন। বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকান্ড একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধগুলোর মধ্যে ঘৃণ্যতম অপরাধ।
এসব হত্যাযজ্ঞে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন, তাঁদের শাস্তি নিশ্চিত করার মধ্য দিয়েই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তারা বলেন,দীর্ঘ বছর ধরে অধ্যাপক জি সি দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশেদুল হাসান, ড. আনোয়ার পাশা, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল¬া কায়সার, নিজামউদ্দীন আহমেদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, সাহিত্যিক সেলিনা পারভীনসহ নিহত অসংখ্য পরিবারের স্বজনরা বয়ে চলেছেন আপনজনকে হারানোর বেদনা ও কষ্ট।
No comments