আড়ানি পৌর নির্বাচন ঃ ভোটের মাঠে, স্বতন্ত্র প্রার্থী আ’লীগের দুই বিদ্রোহী দলীয় প্রতীকে লড়বেন শহীদুজ্জামান-তোজাম্মেল হক ||rajshahirdorpon24
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
আগামী ১৬ জানুয়ারি আড়ানি পৌর সভার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আ’লীগের দলীয় মনোয়ন পেয়েছেন পৌর আ’লীগের সভাপতি মোঃ শহীদুজ্জামান নৌকা) আর বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন অবিভক্ত আড়ানি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ তোজাম্মেল হক (ধানেরশাীষ)। দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন,বর্তমান মেয়র ও পৌর আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তার আলী (প্রতীক নারিকেলগাছ) ও পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রিবন আহমেদ (মোবাইলফোন)।
২৩ ডিসেম্বর প্রার্থীতা বাছাইয়ের পর থেকে মাঠে তৎপর রয়েছেন এই ৪ প্রার্থীই। ২৯ ডিসেম্বর ছিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন। কিন্তু স্বতন্ত্র দুই প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যহার করেননি। বিভেদের রাজনীতির হাওয়া লেগেছে আসন্ন পৌর নির্বাচনে। তাই একক প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েও বিদ্রোহী প্রার্থীর চ্যালেঞ্জে পড়েছে আওয়ামীলীগ। তবে ৪ জনের নাম ভোটাদের আলোচনায় রয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনে লড়াই হবে দুই অভিজ্ঞ আর নতুন দুই মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে। এবার শক্তপোক্তভাবে নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন তারা। প্রত্যেকেই বিজয়ী হলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি আর মডেল পৌরসভা গড়ে তোলার নানা পরিকল্পনার কথা বলছেন। তবে ভোটাররা প্রার্থীদের ভোট দেবেন বুঝে-শুনে এবং প্রার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠি দেখে।
২০১৫ সালে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মুক্তার আলী। ২০১১ সালে পৌর সভার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাউন্সিলর ছিলেন। এর আগে অবিভক্ত আড়ানি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জনপ্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
মেয়র প্রার্থী শহীদুজ্জামান রাজনৈতিক পরিবারে বড় হয়েছেন। পড়া লেখায় উচ্চ শিক্ষিত। ছাত্র জীবন থেকে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন। আড়ানি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও থানা আ’লীগের সাবেক সভাপতি মরহুম আলাউদ্দীনের ভাই মোঃ আবু বক্কর এর বড় ছেলে শহীদুজ্জামান। আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে এবারেই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তিনি।
প্রয়াত পিতার উত্তরসুরি, নবীন ও প্রথম মেয়র প্রার্থী হিসেবে রিবন আহমেদ এরই মধ্যে ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি। প্রয়াত আ’লীগ নেতা বাবুল ইসলামের বড় ছেলে তিনি। ২০১৫ সালের নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন রিবন আহমেদেও পিতা বাবুল ইসলাম। মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন তিনি মারা যান।
ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তোজাম্মেল হক। ১৯৯৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অবিভক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। জনপ্রতিনিধি হয়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। জনপ্রতিনি ও রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে তার
এদিকে ৩০ ডিসেম্বর বুধবার প্রতীক বরাদ্দের পর মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১০জন নারী কাউন্সিলর ও সাধারন কাউন্সিলর পদে ২৯ জন । সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১০জন নারী কাউন্সিলররা হলেন - (সংরক্ষিত ওর্য়াড-১) মোসাঃ হাসনা হেনা বেগম, মোসাঃ অফরোজা বেগম , মোসাঃ ছনিয়া বেগম। (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ২), মোসাঃ মুক্তি খাতুন, মোসাঃ আরজু মান্দ বানু, মোসাঃ খাদিজা বেগম। (সংরক্ষিত ওয়ার্ড ৩) সবুর,মোসাঃ ছামিউন বেগম, মোসাঃ মর্জিনা বেগম, মোসাঃ মাসুদা বেগম।
সাধারন কাউন্সিলর পদে ২৯ জন হলেন-(ওয়ার্ড-১) মোঃ রেজাউল করিম,মোস্তাকিন রহমান, মোঃ রবিউর ইসলাম। (ওয়ার্ড-২) মোঃ জিল্লুর রহমান সর্দার,মোঃ নওশাদ আলী সর্দার,মোঃ রফিকুল ইসলাম। (ওয়ার্ড-৩) মোঃ আঃ আওয়াল, মোঃ খোরশেদ আলম, মোঃ আফতাব প্রাং, মোঃ সিহাব উদ্দীন। (ওয়ার্ড-৪) মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ রাশিদুজ্জামান, মোঃ জামাল উদ্দীন, মোঃ মোজাম্মেল হক রাজ। (ওয়ার্ড-৫) মোঃ আব্দুল হাকিম, মোঃ মুক্তার আলী। (ওয়ার্ড-৬) রায়হান কবির, স্বপন সরকার, মোঃ আসাদুজ্জামান। (ওয়ার্ড-৭) মোঃ মামুন উদ্দিন, মোঃ আরিফুল ইসলাম পলাশ, মোঃ মহন আলী,মানিক উদ্দিন। (ওয়ার্ড-৮) মোঃ সাইফুল ইসলাম,শ্রী কার্তিক চন্দ্র হালদার, আল আমিন। (ওয়ার্ড-৯) মোঃ মোশারফ হোসেন,মোঃ জয়নাল আবেদীন,মোঃ আনোয়ার হোসেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মুজিবুল আলম জানান, আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোট গ্রহন করা হবে। পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৮৪। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ৮৭৮ ও নারী ভোটার ৭ হাজার ১০৬।##
No comments