রাজশাহীতে আওয়ামী লীগে রক্তক্ষরণ নেতাকর্মীরা হতাশ ||rajshahirdorpon24
আলিফ হোসেন,তানোর
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের হৃদয়ে হচ্ছে রক্তক্ষরণ, জনমনেও দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া বইছে মুখরুচোক নানা গুন্জন।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কাঁকন হাট পৌর মেয়র, প্রতিষ্ঠিত, কর্মী-জনবান্ধব, অপ্রতিদন্দী ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব আব্দুল মজিদকে বঞ্চিত করে আসন্ন নির্বাচনে বির্তকিত নেতৃত্ব একেএম আতাউর রহমানকে নৌকার মনোনয়ন দেয়ায় তৃণমুলের নেতা এবং কর্মী- সমর্থকদের মাঝে এসব ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ অসন্তোষের সুত্রপাত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, কাঁকনহাট পৌরসভা এক সময় ছিল জামায়াত-বিএনপির আঁতুড়ঘর। স্থানীয় সাংসদ ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী তার রাজনৈতিক দুরদর্শীতায় আব্দুল মজিদকে আওয়ামী লীগে নিয়ে এসে জামায়াত-বিএনপির আঁতুড়ঘর তছনছ করে আওয়ামী লীগের বসতঘরে পরিনত করেন যাতে আব্দুল মজিদের বড় ভুমিকা রয়েছে এতে তিনি কাঁকন হাটের রাজনীতি হয়ে উঠে অপ্রতিদন্দী নেতৃত্ব। ফলে কাঁকন হাট পৌরসভা সৃস্টির পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে তিনি নিরুঙ্কুশভাবে বিজয়ী হয়ে আসছেন এবারেও তার ব্যতিক্রম হবে না। অথচ কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই এবার তাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা হয়েছে বলে মনে করছে তৃণমুল। তবে দল-নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি আস্থা ও সম্মান জানিয়ে তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। কিন্ত্ত তার অনুগত বিশাল কর্মী বাহিনী তার মনোনয়ন বঞ্চিত কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না, দীর্ঘদিন একটানা মেয়রের দায়িত্ব পালন করায় পৌর এলাকায় মজিদের নিজস্ব একটা বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে, মজিদ বিরোধীদের যারা কখানোই মেনে নিবেন না এমনকি অনেক স্থানে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং দাবি করেছে সিদ্ধান্ত পুর্ণবিবেচনার বলেও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর আওয়ামী লীগের এক জৈষ্ঠ নেতা বলেন,জাতীয় সংসদ, জেলা পরিষদ, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেভেনস্টার গ্রুপের নেতা আতাউর রহমানের ভুমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ, এমনকি বয়সের ভারে নুজ্য
এছাড়াও এমপিবিরোধী বলয়ের নামে দলীয় কোন্দল সৃস্টির অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, মাত্র কিছুদিন আগে আতাউর রহমান পৌরসভার নাগরিক হয়েছেন অনেকে এখানো তাকে বহিরাগত মনে করে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে এখানো তার তেমন কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠেনি, যেই সম্পর্ক রয়েছে মজিদের, আবার স্থানীয় সাংসদের সঙ্গেও তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে তিনি সভা-সমাবেশে প্রকাশ্যে এমপি ও তার পরিবার নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে।
এখন প্রশ্ন হলো কদিন আগেও যিনি এমপির বিরুদ্ধে বিষোদাগার করেছেন, সেই এমপির নির্বাচনী এলাকায় তিনি কি এমপির সমর্থন ছাড়া বিজয়ী হতে পারবেন না কি সেটা সম্ভব, যদি সেটাই হয় তাহলে এখন তিনি কি মুখে এমপির সহযোগীতা চাইবেন, আবার এমপির বিশাল কর্মী বাহিনী সেটা কি ভাবে গ্রহণ করবেন। কারণ তিনি নিজেই তো কদিন আগে এমপিকে আওয়ামী লীগবিরোধী আঙ্খ্যা দিয়ে তাকে প্রতিহত ও তার বিরুদ্ধে ভোট চেয়েছেন, তাহলে এখন মানুষ কাকে খারাপ বলবে, আবার দল,নেতা ও নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য ও
বাধ্যবাধকতার জন্য এমপি দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না, তবে তার অনুগত সাধারণ কর্মী-সমর্থকরা কি সেটা মানবেন কারণ তাদের তো কোনো বাধ্যবাধকতা বা জবাবদিহিতা নাই ইত্যাদি হাজারো প্রশ্ন দেখা দিয়েছে পৌরবাসীর মনে। স্থানীয় রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের অভিমত এসব বিবেচনায় আতাউর রহমান নৌকার প্রার্থী হলেও খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থানে নাই।
এদিকে হেভিওয়েট মজিদের পরিবর্তে আতাউরকে অনেকে দুর্বল প্রার্থী ভাবছে, আর দুর্বল প্রার্থীর কারণে কাঁকন হাট পৌর নির্বাচনে নৌকা ডুবির আশঙ্কা করছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে এব্যাপারে একাধিকবার যোগাযোগের চেস্টা করা হলেও আওয়ামী লীগের দদায়িত্বশীল কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি
No comments