সাভারে একটি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা ||rajshahirdorpon24
সাভারে একটি গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ ঘোষণা |
মো হাসিবুর রহমান শান্ত, সাভার প্রতিনিধি
ঢাকার সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বেকার হয়ে পড়েছেন কারখানাতে কর্মরত ১৩৫ জন শ্রমিক।
আজ শনিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে কারখানাটির মূল ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় মালিক পক্ষ। শিল্প পুলিশ বলছে, সাভারের রেডিও কলোনী এলাকায় ২০১৭ সালে চারশ' জন শ্রমিক নিয়ে এ্যারিষ্টোক্র্যাট ফ্যাশনস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় উৎপাদন শুরু করেন রাজধানীর মিরপুরের ব্যবসায়ী আবুল হাসনাত।
পরে কারখানায় কাজ কমে যাওয়ায় মালিক পক্ষ চলতি বছরের ২৮ জুলাই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেন। এরপর কারখানা মালিক আবুল হাসনাত উত্তরার ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদের কাছে দুই কোটি ১০ লাখ টাকায় গত ১ নভেম্বর কারখানাটি বিক্রি করে দেন।
পরে নতুন মালিক হারুনুর রশিদ ১৩৫ জন নতুন শ্রমিক নিয়ে কারখানাটিতে ১ নভেম্বর থেকেই সাব কনট্রাক্টে কাজ এনে উৎপাদন শুরু করেন। তবে কারখানাটি বিক্রি করার পরে আগের মালিক আবুল হাসনাত ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে জানতে পারেন, যে চেকটি তাঁকে দেয়া হয়েছে সেটি মেয়াদোত্তীর্ণ। একাউন্টে কোন টাকা নেই। এরপর আগের মালিক প্রতারণার শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই কারখানার নতুন মালিক শ্রমিকদের এক মাসের বেতন না দিয়েই পালিয়ে যান। এরপর শ্রমিকরা শুক্রবার নভেম্বর মাসের বেতনের জন্য কারখানায় অবস্থান নিলে আগের মালিকের কারখানায় প্রস্তুত করা শিপমেন্টর পোশাক ছয় লাখ ৩৯ হাজার টাকায় বিক্রি ও নিজের জমানোকৃত আরও তিন লাখ টাকা দিয়ে শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের বেতন পরিশোধ করে কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এতে শ্রমিকরা করোনার সময় বেকার হয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে কারখানার আগের মালিক আবুল হাসনাত বলেন, তিনি ওই প্রতারক মালিকের বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করবেন সাভার মডেল থানায়।
বেকার হওয়া কারখানার শ্রমিকরা জানান, কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণ করায় তারা নতুন কোন কারখানায় কাজ নিতে পারবেন না। কারণ করোনাভাইরাসের সময় কোন কারখানায় লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না।
No comments