পাঁয়ে সিগারেটের স্যাকা, ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে গৃহবধু ! ||Rajshahirdorpon24
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি :
পঁচিশ বছর বয়সে চার বিয়ে করেছেন জুয়েল। অত্যাচারে তিন স্ত্রী চলে যাওয়ার পর,সর্বশেষ বিয়ে করেছেন উপজেলার খাঁয়েরহাট গ্রামের নুরুল আমিনের মেয়ে সুবর্না (২০)’র সাথে। বছর খানেক আগে ১লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে সুবর্নাকে বিয়ে করেন জুয়েল। সেও রেহাই পাইনি নির্যাতন থেকে। বৃহসপতিবার (১৭-১২-২০) রাতে চতুর্থ স্ত্রী সুবর্নার ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরে সিগারেটের স্যাকা দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করেছেন। সংবাদ পেয়ে তার মা নাজমা ও ভাই দুলাল রাত ৮টায় বাঘা হাসপাতালে ভর্তি করেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শিরিন আকতার জানান, ডান পায়ের হাটুর নীচে ও উপরের অংশে বেশ কয়েকটি ক্ষতের চিহৃ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (১৮-১২-২০) হাসপাতালের আন্তঃ বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, মেয়ের এ অবস্থা দেখে বিষন্ন মনে পাশে বসে মা নাজমা বেগম। সেখানে কথা হলে সুবর্না জানান, স্বামী জুয়েলের এক হাত দিয়ে তার দুই হাত ধরে রেখে পরনের পায়জামার ওপর দিয়ে সিগারেটের জ¦লন্ত আগুন চেপে ধরে নির্যাতন করে। সেই আগুনে শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে যায়। শুধু এবারই নয়,বিয়ের পর থেকে কারণে অকারণে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে তাকে।
অন্তসত্বা অবস্থায় নির্যাতনের শিকার হয়ে সন্তানও নষ্ট হয়ে গেছে। পেটে লাথি মারার কারণে রক্তক্ষরণে তার সন্তানটি পড়ে যায়। গরীব পরিবারের মেয়ে তাই নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছি। সুবর্নার মা নাজমা জানান,বিয়ের কয়েক মাস পর ধারে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছিল জুয়েল। সেই টাকা চাওয়ার পর থেকেই মাঝে মধ্যে মেয়েকে নির্যাতন করে। আমার চেয়ে জুয়েলের অবস্থা ভালো দেখে বিয়ে দিয়েছেন। তবে এতটা খারাপ হবে বুঝতে পারিনি। এর আগে এসব কারণে জিডি করেছেন। এবারও অভিযোগ করেছেন সুবর্না। তিনি জানান,এর আগে তার স্বামী জুয়েল আরো ৩টি বিয়ে করেছেন। এদের কেউ থাকতে পারেনি। জুয়েল, উপজেলার একই গ্রামের বাসিন্দা মহসীনের ছেলে ।
একাধিক বিয়ের কথা শিকার করলেও সিগারেটের স্যাকা দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে জুয়েল বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি জানান,শুধু আমারই নয়,তারও একাধিক বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর থেকে সে আমার কথামতো চলাচল না করে,নিজের ইচ্ছামতো চলতে চায়। এনিয়ে সংসারে বাক বিতন্ডা হয়। তবে অশান্তির মূলে হচ্ছে সুবর্ননার মা। ৩দিন আগে গ্রামের লোকজন এর আগে আমাকে ও তার পরিবারকে বুঝিয়েছেন। কিন্তু সে কথায় তাদের মনোযোগ নাই। কেউ নিজের বাচ্চাকে ফেলে দিতে চায়না। অকারনে হয়ে যায়।
বাঘা থানার ডিউটি অফিসার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম জানান, শুক্রবার (১৮-১২-২০) সুবর্না বাদি হয়ে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ করেছেন।##
No comments