সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, পৃথক ঘটনায় আটক ২ ||rajshahirdorpon24
সাভারে গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, পৃথক ঘটনায় আটক ২ |
মোঃ শান্ত খান সাভার প্রতিনিধি:
অপহরণের সাত দিন পরে সাভারে সাজেদুল ইসলাম (১৮) নামের এক গার্মেন্টস শ্রমিকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ঝাউচরের ধলেশ্বরী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
সে নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানার বাশিলা মধ্যপাড়া এলাকার মোস্তাক শাহ্র ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানাযায়, মোস্তাক তার বাব মার সাথে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হরিণধরা এলাকার ঈমান আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করে আসছিলেন। পরে তার সাথে কিছু দিন আগে পরিচয় হয় হরিণধরা এলাকার পেশাদার ছিনতাইকারী কাদের মিয়ার ছেলে মিলন (২৪), খোকন মিয়ার ছেলে শাওন (২২), ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে ইমনের সাথে (২৩)।
এসময় তিন ছিনতাইকারী হরিণধরা ও বাগবাড়ি মোড় এলাকায় বিভিন্ন গার্মেন্টস শ্রমিকসহ নানা বয়সী মানুষের কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করলে গার্মেন্টস সাজেদুল ইসলাম প্রতিবাদ করলে ওই তিন ছিনতাইকারী তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরে গত ২৮ ডিসেম্বর পোশাক কারখানা ছুটির পরে সাজেদুল ইসলাম বাড়ি ফিরলে ছিনতাইকারীরা তাকে কৌশলে মোবাইল ফোনে ভাড়া বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে তাকে ছুরিকাঘাতে ও কুপিয়ে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে ইট দিয়ে বেধে গুম করার জন্য ঝাউচর এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে ফেলে দেয়।
এদিকে এঘটনার পর নিহতের মা সাজেদা বেগম তিন ছিনতাই কারীর নামে সাভার মডেল থানায় একটি অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গতকাল উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাইকারী মিলনকে আটক করে তাকে সঙ্গে নিয়ে ভোর রাতে ধলেশ্বরী নদী থেকে তার ইট দিয়ে বাধা বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ।
এঘটনায় আরও দুই ছিনতাইকারীকে আটক করতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে সাভারের জামিসং এলাকায় ফজলুল হকের ছেলে মিলন মিয়াকে (২০) হত্যার রহস্য উৎঘাটন করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। এঘটনায় পুলিশ হত্যাকারী জামসিং এলাকার আব্দুর রবের ছেলে বাবু মিয়াকে (২৩) আটক করেছে ।
পুলিশ জানায়, গত এক মাস আগে ঝগড়ার জের ধরে মিলন মিয়াকে হত্যার পরিকল্প করেন তার প্রতিবেশী বাবু,ইমন,রাজন,জয় ও সুমন নামের পাঁচ যুবক। পরে তিন ডিসেম্বর প্রকাশ্যে জামসিং এলাকায় মিলন মিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করে ওই পাঁচ যুবক। এর পর থেকে হত্যাকারীরা বাড়ি ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিহত যুবকের বাবা ফজলুল ইমন মিয়াকে প্রধান আসামী করে আরো অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে আসামীদের আটক করতে অভিযানে নামে। পরে গতকাল গোপন সংবাদের ভিতিত্বে ধামরাইর বাথুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যাকারী বাবুকে আটক করে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
এসময় হত্যাকারী বাবু মিলনকে হত্যার কথা শিকার করে পুলিশের কাছে জবাববন্দি দিয়েছেন। দীর্ঘ একমাস পরে এহত্যার রহস্য উৎঘাটন করায় নিহতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করে হত্যাকারী আরো চারজনকে দ্রুত আটক করার জন্য পুলিশের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এবিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম জানান,আটক দুই হত্যাকারীকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ও অন্য আসামীদের আটক করতে অভিযান চলছে।
No comments