Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    তানোরের মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে দ্বিমুখী লড়াই এগিয়ে আমিন ||rajshahirdorpon24

     

    তানোরের মুন্ডুমালা পৌর নির্বাচনে দ্বিমুখী লড়াই এগিয়ে আমিন 

    আলিফ হোসেন,তানোর

    রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌরসভা নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগ মধ্যরাতে শেষ হয়েছে, প্রচার-প্রচারণা শেষে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে আমিন।  


    এবার মেয়র পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছে এরা হলেন প্যানেল মেয়র আমির হোসেন আমিন(নৌকা) প্রতিক, ফিরোজ কবির (ধানের শীষ) ও নৈশপ্রহরী সাইদুর রহমান বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে  জগ) প্রতিক নিয়ে প্রতিদন্দিতা করছেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাইদুরকে আওয়ামী লীগ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বহিস্কার করা করেছে আর বিএনপির প্রার্থী ফিরোজ কবির নারী কেলেঙ্কারিসহ নানা 

    কারণে নির্বাচনী দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছে তার কোনো আলোচনা নাই মুল আলোচনায় রয়েছে আমিন-সাইদুর এবং তাদের মধ্যেই দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে।


     আর এই দ্বিমুখী লড়াইয়ে বিজয়ী হবার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে আমিন। স্থানীয় সাংসদ আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর জনপ্রিয়তা ও উপজেলা চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নার নির্বাচনী কারিশমা বা কৌশল কাজে লাগাতে পারলেই নৌকার বিজয় নিশ্চিত।

    এদিকে মেয়র গোলাম রাব্বানীর সময়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত থেকে নাগরিকগণের মধ্যে বোধদয় হয়েছে, যেখানে রাব্বানী পারেনি সেখানে তার ঘনিষ্ঠ সহচর সাইদুর রহমান উন্নয়ন করতে কখানোই পারবে না। ইতমধ্যে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে, আবার এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নাই, বিজয়ী হলে তিনি উন্নয়ন করবেন কি ভাবে তাই পৌরবাসী তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার মতো ভুল তারা করবে না। 


    সাধারণ ভোটারদের অভিমত নৌকা হচ্ছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিক,ফলে নৌকার জয় মানে প্রধানমন্ত্রীর জয়,পরাজয় মানে প্রধানমন্ত্রীর পরাজয়, তাই একজন নৈশপ্রহরীর কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নৌকা প্রতিক পরাজিত হলে সেই লজ্জ্বা পুরো পৌরবাসীর । আর পৌরবাসীর মাঝে এই বোধদয়ের ফলে ভোটের মাঠে ভিন্নমাত্রা  ও পরিবর্তনের পুর্বাভাস লক্ষ্য করা গেছে সৃস্টি হয়েছে নয়াসমীকরণ। পৌরবাসীর বোধদয় নির্বাচনে বিজয়ী হবার দৌড়ে আমিন-সাইদুরের মধ্য বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।তাছাড়া সাইদুরকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করা হলেও তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে কোনো উন্নয়ন করতে পারবেন না এই বিষয়টিও নির্বাচনের মাঠে সাইদুরকে পিছিয়ে দিয়েছে। এসব বিবেচনায় পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিজয় প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছে আপামর পৌরবাসী। 


    জানা গেছে,গোলাম রাব্বানী মেয়রের দায়িত্বে থাকায় পৌরসভার নাগরিকগণ দীর্ঘদিন ধরে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে।  এছাড়াও রাস্তা- ঘাট, গ্রামীণ অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি ইত্যাদি উন্নয়ন ও অর্জনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়েও পিছিয়ে থেকে ডিজিটাল নর্দমা নামে পরিচিতি লাভ করেছে পৌরসভা। কারণ তিনি এমপি হবার খোয়াব দেখে পৌরসভার উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় 

    তানোর-গোদাগাড়ীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যয় করে নিজের জনমত গড়তে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এদিকে পৌরবাসির বোধদয় সৃস্টির পর পাল্টেগেছে ভোটের হিসেব-নিকেশ। 


    পৌরবাসী বলছে, তারা কোনো ভাবেই গোলাম রাব্বানীর দোসরদের মেয়র হিসেবে মেনে নিবেন না। সচেতন মহলের ভাষ্য, সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা লোপাট করে ফুঁলেফেঁপে উঠে মেয়র নিজে বিলাস জীবনযাপন করে জনগণকে বোঝায় এমপির সঙ্গে দন্দ তাই এমপি তাকে কিছুই দেন নি,  ফলে তার আন্তরিক ইচ্ছে থাকলেও জনগণের কোনো কাজ করতে পারে না যেটা ডাহা মিথ্যা কথা পৌরসভার বিষয়ে সাংসদদের হস্তক্ষেপ করার তেমন কোনে সুযোগ নাই। 


    তাদের উন্নয়ন বরাদ্দের টাকা তারা যথারীতি উত্তোলন করেন তবে নানা অজুহাতে কাজ না করেই সেই টাকা মেয়রের পকেটে চলে যায়। অথচ পৌরসভার রাজস্ব ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার সাহায্যেের টাকায় পৌরসভায় উন্নয়নের বিপ্লব ঘটানো সম্ভব বলে মনে করেন উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728