Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চারঘাটে চিনি, রং ও হাইড্রোজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাসায়নিক গুড় !||rajshahirdorpon24

     

    চারঘাটে চিনি, রং ও হাইড্রোজ দিয়ে তৈরি হচ্ছে রাসায়নিক গুড় !

    স্টাফ রিপোর্টার: 

    শীতকালে খেজুর গুড়ের তৈরি পিঠা ও পায়েশের নাম শুনলেই জিহ্বায় পানি চলে আসে। রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলায় শীত মৌসুমে প্রতি বছরের মতো এবারও জমে উঠেছে খেজুরের গুড় উৎপাদন।


    এবারেও বেড়েছে খেজুর গুড়ের চাহিদা। যোগানও প্রচুর। তবে তা গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রকৃত খেজুর গুড় নয়। সামান্য পরিমাণ খেজুর রসের সঙ্গে চিনি, আটা, হাইড্রোজ, ফিটকারি, সোডা, চুন, নারিকেলের তেল ও রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে খেজুর গুড়। এতে খেজুর গুড়ের মৌলিক স্বাদ গন্ধ দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।


    চারঘাট-বাঘা উপজেলার অধিকাংশ গ্রামে চলছে খেজুর গুড়ের রমরমা এ বাণিজ্য। জানা গেছে, শীত এলেই খেজুর গুড়ের চাহিদা অনেক গুণ বেড়ে যায়। আর এ বেড়ে যাওয়া চাহিদাকে পুঁজি করে অধিক মুনাফালোভী কিছু অসাধু খেজুর গুড় তৈরির কারিগর তাতে মেশাচ্ছে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল হাইড্রোজ, চিনি ও চিটা লালিগুড়। 


    অভিযোগ উঠেছে গুড়ের চেয়ে চিনির দাম কম হওয়ায় অসাধু গুড় তৈরির কারিগররা এসব অনৈতিক কাজ করছে। আর তা কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। 


    নাম প্রকাশ না করার শর্তে চারঘাটের ভায়ালক্ষ্মীপুর এলাকার খেজুর গুড় তৈরির এক কারিগর জানান, বর্তমানে সুস্বাদু খেজুর গুড় তৈরি করে বাজারজাত করতে হলে প্রতি কেজি বিক্রি করতে হবে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। কিন্তু বাজারে খেজুর গুড় বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে। এতে খেজুর গুড় তৈরিতে লোকসান গুনতে হবে। ফলে অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও খেজুর গুড়ের সঙ্গে কিছু চিনি, গত বছরের লালি গুড় ও হাইড্রোজের মিশ্রণ ঘটিয়ে খেজুর গুড় তৈরি করতে হচ্ছে।


    অপর একজন জানান, মানুষ আর ভালো জিনিস খেতে চায় না, মানুষ চায় শুধু কম দামে ফকফকা জিনিস কিনতে। 


    স্থানীয় সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম বাদশা বলেন, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি থাকার পরও প্রতি বছরই এক শ্রেণির অসাধু খেজুর গুড় তৈরির কারিগররা সুস্বাদু খেজুর গুড়ের সঙ্গে চিনি, হাইড্রোজসহ ক্ষতিকারক পণ্য মিশিয়ে ভেজাল খেজুর গুড় বাজারজাত করে আসছে। এরা মানুষ হয়েও মানুষের ক্ষতি করে চলেছে। এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়া হলে বার বার এরা একই কাজ করবে। 


    এদিকে চিনি ও হাইড্রোজ মিশ্রিত খেজুর গুড় স্বাস্থ্যহানি সম্পর্কে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শহিদুল ইসলাম রবিন বলেন, এভাবে গুড়ের সঙ্গে চিনি এবং হাইড্রোজ মেশানো খাদ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। এসব মেশানো গুড় খেলে পেট ব্যথা, আলসার, ডায়রিয়া, কলেরা, জন্ডিসসহ মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে।


    এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের রাজশাহী বিভাগের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, উপজেলা পর্যায়ে আমাদের অফিস না থাকার কারনে এসব ভেজাল পণ্য তৈরির বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত অভিযানগুলো পরিচালনা করতে পারিনা। তবে আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। এর আগে ভেজাল গুড় তৈরির বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বিভিন্ন কার্যক্রমও গ্রহণ করে হয়েছিল।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728