Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ||rajshahirdorpon24

     

    চীন বাংলাদেশের পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী 

    মোঃ শান্ত খান সাভার  প্রতিনিধি:

    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত বন্ধু। পদ্মা সেতুসহ অনেক বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীন কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে আমাদের পাশে রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে প্রত্যাবর্তনে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।


    আজ বুধবার (২০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য চীনা সরকার প্রদত্ত জরুরী চাল সহায়তা বিষয়ক অনলাইন সার্টিফিকেট স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করানো যায়, ততই সবার জন্য মঙ্গল ।


    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের দেয়া তালিকা থেকে ৪১ হাজার ৭১৯ জন রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছে মিয়ানমার। এই তালিকা ধরে আগামী মার্চ-এপ্রিলে প্রত্যাবাসন শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা যায়।


    চলমান আলোচনা অনুযায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. এনাম বলেন, ‘বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও চীনের সচিব পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সব বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারও মনে করেছে, তাদের ফিরিয়ে নেয়া দরকার। বাংলাদেশও আশা করে রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে নাগরিক অধিকার নিয়ে ফিরে যাক। চীনা সরকারও চায়, বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে তাদের ফিরে যাওয়া উচিত।’


    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের গ্রাম ভিত্তিক রিপ্যাট্রিয়েশন চায়। কিন্তু মিয়ানমার সরকার চায়, বাংলাদেশ সরকার যে তালিকা দিয়েছে এবং যে তালিকাটা তারা ভেরিফাইড করেছে, সেই তালিকা অনুযায়ী ফেরত নিতে চায়। এই জায়গায় মঙ্গলবার বৈঠক শেষ হয়েছে। আশা করি, পরবর্তী মিটিংয়ে আরও সমাধান আসবে।'


    ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের যেমন চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, একইভাবে মিয়ানমারের সঙ্গেও তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, মিয়ানমারের উন্নয়নে চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সেই জায়গায় চীন যদি সত্যিকারভাবে চায়, সেক্ষেত্রে অবশ্যই তারা মিয়ানমার সরকারকে প্রভাবিত করতে পারবে।’


    এনামুর রহমান বলেন, ‘আমাদের বক্তব্য ও মঙ্গলবারের বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেছেন, তাদের শতভাগ ইচ্ছা বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক সেই সম্পর্ক তারা বজায় রাখবেন, বাংলাদেশের সকল সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আমাদের পাশে থাকবেন। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে তারা কাজ করে যাবেন।’


    দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ৮ লাখ ২৯ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে ডা. এনামুর রহমান বলেন, ‘সেখানে থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাড়ে ৫ লাখ রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমার সরকারের কাছে পাঠিয়েছে। মিয়ানমার সরকার ৪১ হাজার ৭১৯ জনকে ভেরিফাই করেছে। তাদের নেয়ার কথা তারা জানিয়েছে।’


    হস্তান্তর চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের জন্য চীন ২ হাজার ৫৫৪ মেট্রিক টন চাল দিয়েছে জানিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গত ডিসেম্বরে এই চাল আমরা পেয়েছি। চাল এখনও রোহিঙ্গাদের বিতরণ করা হচ্ছে। এজন্য আজকে একটি সাইনিং হয়েছে।’


    অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন শরণার্থী প্রত্যাবর্তন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের যুগ্ম সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ মোহসিন এবং চীনা রাষ্ট্রদূত লি গিমিং এতে স্বাক্ষর করেন।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728