Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে, হাসপাতালে নেওয়ার পর পালালো স্ত্রী!||rajshahirdorpon24

      

    বাঘায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে, হাসপাতালে নেওয়ার পর পালালো স্ত্রী!

     স্টাফ রিপোর্টার:

     রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে হাসপাতালে নেওয়ার পর, সেখানে রক্তক্ষরণ দেখে পালিয়েছে স্ত্রী। তাদের সাথে থাকা মনোয়ারা নামের এক নারি জানান, জেলার চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়ার সময় তাকে সাথে নিয়ে যান আহত পলানের স্ত্রী খোদেজা বেগম (৪৫)। সেখানে রক্তক্ষরণ দেখে ভ্যানের ভাড়া দেওয়ার কথা বলে সটকে পড়ে পলানের স্ত্রী খোদেজা। খবর পেয়ে পলানের লোকজন চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় মেম্বর আব্দুল মান্নান জানান,পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী এমন কান্ড ঘটিয়েছেন । 


     শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের হরিরামপুর শান্তির মোড় এলাকায়  এ ঘটে। ঘটনার পর প্রথমে তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।


    আহত ওই ব্যক্তির নাম পলান সরকার (৩২)। তিনি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। খোদেজার সাথে বিয়ে করে হরিরাপুর গ্রামে থাকতেন।  খোদেজার ২ নম্বও স্বামী পলান আর পলানের দ্বিতীয় স্ত্রী হচ্ছে খোদেজা। 


    আহত ব্যক্তি পলান জানিয়েছেন, বাঘার হরিরামপুর গ্রামের ফয়েন উদ্দিনের মেয়ে খোদেজা বেগমের সঙ্গে ৫ মাস আগে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন। মাঝে-মধ্যেই পলান সরকার তার স্ত্রী খদেজা বেগমকে দেখতে শ্বশুর বাড়িতে আসতেন। কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়।


    এর জের ধরে শুক্রবার ভোরে দুজনের ঝগড়া শুরু হয়।  এর এক পর্যায়ে  খোদেজার স্বামী আবারও ঘুমোতে যান। এই সুযোগে স্ত্রী খদেজা বেগম স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন। পরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান স্ত্রী খোদেজা ও পাশের বাড়ির মনোয়ারা নামের এক নারী।  সেখানে রক্তাত্ত অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।


    চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৌসুমী রহমান বলেন, সকালে গুরুতর অবস্থায় ওই ব্যক্তিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আনা হয়। এরপর থেকে তার সঙ্গে আসা কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।


    বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, খবরটি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান  এই পুলিশ অফিসার।


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728