বাঘায় মুদি দোকানির অনৈতিক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা সেই নারির ভূমিষ্ঠ সন্তানকে কোলে নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ||rajshahirdorpon24
স্টাফ রিপোর্টার:
গত মাসের ১০ জানুয়ারি স্থানীয় ক্লিনিকে পুত্র সন্তান প্রসব করেন, বিয়ের প্রতিশ্রæতিতে মুদি দোকানির অনৈতিক সম্পর্কের অন্তঃসত্ত¡া এক নারি। সন্তান প্রসবের আগে নিত্যদিনের যাবতীয় ব্যয় ও শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ওই শিশুকে লালন-পালনসহ সব ব্যয় বহন করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ¦ শাহরিয়ার আলম এমপি। শুক্রবার (০৫-০২-২০২১) রাতে রাসেল নামের ভ’মিষ্ঠ ওই সন্তানকে কোলে নিয়ে আর্শিবাদ করেন প্রতিমন্ত্রী। উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফাতেমা মাসুদ লতা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এলাকায় আসার পর ওই সন্তানকে তার বাড়িতে নিয়ে আসার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। ভ’মিষ্ঠ সন্তান,রাসেলের মা ঝর্নাসহ তার বাড়িতে আসার পর ওই সন্তানকে কোলে নিয়ে আর্শিবাদ করেন প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি।
ফাতেমা মাসুদ লতা জানান, উপজেলার মনিগ্রাম বাজারের মুদি দোকানি বাদশা আলম,বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে ওই নারির সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে সে অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়ে । কিন্তু ওই মুদি দোকানি বাদশা আলম তাকে আর বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় প্রতারিত নারি অবশেষে মামলা করেন । গত বছরের ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ওই নারির শারীরিক পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত¡ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। সেই পরীক্ষার ব্যয়সহ তার আগামী দিনগুলোতে নিত্যদিনের যাবতীয় ব্যয় ও শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর ওই শিশুকে লালন-পালনসহ সব ব্যয় বহন করবেন বলে দায়িত্ব নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
ফাতেমা মাসুদ লতা আরো জানান, ভুক্তভোগী নারির অসায়ত্বের খবর জানার পর আমি তার পাশে দাঁড়াই। আমার জানামতে, ওই নারির পাশে তার মা ছাড়া এখন আর কেউ নেই। বিষয়টি রাজশাহীর চারঘাট-বাঘার সংসদ সদস্য ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমকে জানানোর পর, তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ওই সময় গনমাধ্যম কর্মীকেও এর সত্যতা নিশ্চিত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি।
উল্লেখ্য, প্রায় বছরখানেক আগে ভুক্তভোগী নারির স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। এরপর ওই নারিকে বিয়ের প্রতিশ্রæতি দিয়ে তার প্রতিবেশী মুদি দোকানি বাদশা আলম শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ওই নারি অন্তঃসত্ত¡া হয়ে পড়েন। পরে তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায়, ঘটনার পাঁচ মাস পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী ওই নারি বাদশা আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলা দায়েরের পাঁচদিন পর অভিযুক্ত বাদশা আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্ত বাদশা আলম একই উপজেলার তুলশিপুর গ্রামের ইদ্রিশ আলীর ছেলে। ওই গৃহবধুর বাড়ি সংলগ্ন মনিগ্রাম বাজারে ব্যবসা করতেন তিনি।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ মামলার আসামি বাদশা আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
No comments