বাঘায় জলমটার চুরির সন্দেহে ৩ জনকে গাছে বেঁধে নির্যাতন!||rajshahirdorpon24
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহীর বাঘায় চুরির সন্দেহে ৩ জনকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সন্ধ্যার আগে নাটকীয়ভাবে ওই জন পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এরা হলো- উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের বারশতদিয়াড় গ্রামের টুলু হোসেনের ছেলে দুলু হোসেন (৩০), হেলালপুর গ্রামের সারাত আলীর ছেলে মাইদুল ইসলাম (৪০), মহদিপুর গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে সহিদুল ইসলামক (৪৫)। একই উপজেলার মহদিপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আযুব আলীর জল মটার চুরির অভিযোগে তাদের ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। শনিবার (২৪-৪-২০২১) উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এই ঘটনার তিনদিন আগে বুধবার রাতে আয়ুব আলীর বাড়ির আঙ্গিনায় যে জল মটার বসানো ছিল,সেটি কে বা কাহারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে সন্দেহজনকভাবে ওই ৩জনকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হয়।
এদিকে নির্যাতনের বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলায় সেখান থেকে চলে আসে পুলিশ । পরে ইউনিয়ন পরিষদে তাদের নেওয়া হয়। সেখানেও কোন সমাধান দিতে পারেনি চেয়ারম্যান। যার ফলে সন্দেহভাজন ৩জনকে মালিকের জিম্মায় দেওয়া হয়। জল মটার মালিক জানান, সন্ধ্যার আগে তাদেও বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়ে বাড়ি গিয়ে শুনছেন তারা নাকি পরিষদ থেকে পালিয়ে গেছে। তবে সহিদুল নামের একজন চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা শিকার করেছে। বাঘা থানার ডিউটি অফিসার মাহফুজুর রহমান জানান, সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাননি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর রাহেলা বেগম জানান. তারা হাতে নাতে ধরা পড়েনি। তবে তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সম্পর্কিত অভিযোগ শোনা যায়। তিনি বলেন,সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসাবাদে এই কথা বলার পর আটককৃত দুলুর মা বুলবুলি তাকে অপমান জনক কথাবার্তা বলেছে। এই অভিযোগের বিষয়টি জানার জন্য দুলুর বাবা টুলুর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি রিসিভ করেননি।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, দুপুরে স্থানীয় মাধ্যমে বিষয়টি জানার পর চৌকিদার পাঠিয়ে আমার কার্যালয়ে আনা হয়। সমাধান করতে না পারায় তাদের ৩জনকে মালিকের জিম্মায় দিয়েছেন। পরে কি হয়েছে তা জানেনা তিনি। বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে তারা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।##
No comments