আসামির স্বীকারোক্তিতে বাঘার পদ্মার চরে হত্যায় ব্যবহার করা দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার!||rajshahirdorpon24
ফাইল ফটো |
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহীর বাঘায় দায়েরকৃত হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি দিলা বেপারির তথ্যের ভিত্তিতে পদ্মার চরের ভূট্রা ক্ষেত থেকে ধারালো একটি হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশাল আকারের হাসুয়াটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে হত্যায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, ২৪ মার্চ রাতে উপজেলার চৌমাদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে ওই গ্রামের ইব্রাহীম দেওয়ান নামের একজনকে হত্যা করে একই গ্রামের আবদুর রশিদ ও তার লোকজন।
২৫ মার্চ নিহতের ভাই সোলেমান দেওয়ান বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে। দিলা বেপারি ওই মামলায় দুই নম্বর আসামি। ৩০ মার্চ রাতে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার তেরখাদিয়ার বারোমাইল এলাকা থেকে দিলা ব্যাপারিকে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন বিজ্ঞ আদালতে ৫ দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত । সেই মোতাবেক ৪ এপ্রিল থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর ইব্রাহীমকে হত্যায় ব্যবহার করা ধারালো হাসুয়াটি চরের একটি ভূট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
হত্যার পর সেই হাসুয়াটি চরের একটি ভূট্টা ক্ষেতে রাখা হয়েছে বলে পুলিশকে তথ্য দেয় গ্রেফতার হওয়া দিলা ব্যাপারি। সে পদ্মার চরাঞ্চালের চকরাজাপুর ইউনিয়নের চৌমাদিয়া গ্রামের মৃত হায়দার বেপারির ছেলে। নিহত ইব্রাহীম দেওয়ান (৩৫) ওই ইউনিয়নের একই গ্রামের হাবু দেওয়ানের ছেলে। বাঘা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গতঃ ২৬ ফেব্রুয়ারি গম ক্ষেতে কাইসা ঘাষের আগাছা পরিস্কারের জন্য আগুন দেয় দিদার ব্যাপারির । সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে মজনু দর্জির কলা বাগান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেওয়া হলেও দিদার ব্যাপারির আত্মীয় বিজিবির সোর্স হিসেবে পরিচিত আব্দুর রশিদ প্রভাব বিস্তার করে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে সন্ত্রাসী লোকজন নিয়ে ২৮ ফেব্রæয়ারি মজনু দর্জি ও তার লোকজনের উপর লাঠি সোডা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে গুলিবিব্ধ ৪জনসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়।
ঞএনিয়ে বাঘা ও দৌলতপুর থানা এলাকার ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় পুলিশ সন্ত্রাসী আব্দুর রশিদের বাড়ি থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল ও বিজিবির পোষাক উদ্ধারসহ ৩জনকে গ্রেফতার করেছে। তারই জের ধরে ২৪ মার্চ রাতে হত্যার ঘটনা ঘটে।#
No comments