Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    সাভারের সড়কে টিলেঢালা লকডাউন, অলিগলিতে বাড়ছে ভিড়!||rajshahirdorpon24

     

    সাভারের  সড়কে টিলেঢালা লকডাউন, অলিগলিতে বাড়ছে ভিড়!


    মোঃ শান্ত খান সাভার প্রতিনিধি:

    করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপি চলছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন। আজ সেই লকডাউনের ৬ষ্ঠ দিন। সাভারে প্রধান সড়কে এই লকডাউন টিলেঢালা


    ভাবে চললেও অলিগলিতে যেন লকডাউন ভাঙ্গার হিড়িক পড়েছে। সাভারে প্রায় সব অলিগলিতে সকাল থেকে রাত অবধি দেখা যাচ্ছে ভিড় আর আড্ডাবাজি। প্রায় এলাকায় খোলা রয়েছে সকল ধরণের দোকানপাট। এদের অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি

    আবার বেশির ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক।



    সর্বাত্মক লকডাউনে সরকারের দেয়া নির্দেশনা উপেক্ষা করে কারণে-অকারণে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। তবে যখনই ম্যাজিষ্ট্রেট কিংবা পুলিশের উপস্থিতিতে দেখতে পাই তখনই সড়ক ফাঁকা করে বিভিন্ন স্থানে চলে যায় এসব মানুষ। অনেকে ম্যাজিষ্ট্রেট ও পুলিশকে নানা

    অজুহাত দেখানোর চেষ্টা করে।



    সোমবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের

    প্রধান সড়ক,সাভার বাজার,   থানা রোড, গেন্ডা,, কাতলাপুর, ভাগলপুর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, নামাবাজার, বাজার রোড,রাজাশন, মজিদপুর, আনন্দপুর, ব্যাংক কলোনী , রেডিও কলোনি, শাহিবাগ, ইমান্দিপুর, রাজ ফুলবাড়িয়া, হেমাতপুর, আমিনবাজার, গাবতলী, সিএমবি, জাহাঙ্গীরনগর, বিশমাইল, নবীনগর, আশুলিয়া,সহ বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। শহরের প্রধান সড়ক ও উপ-সড়কে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক (টমটম), ব্যাটারি চালিত রিক্সা, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন চলছে নিয়মিত ভাবেই। তবে যাত্রীবাহি কোন গণপরিবণ চলছে না।


    এদিকে দুপুর গড়ালেই অলি-গলিগুলো হয়ে উঠছে ভরা হাটবাজার। শুধু মানুষ আর মানুষ। সোমবার দুপুরে আড্ডারত অবস্থায় ভাগলপুর ঈদগা মাঠে  কথা হয় কয়েকজন যুবকের সাথে। তারা এই প্রতিবেদককে জানান, সারাদিন বাসায় বসে থাকতে ভালো লাগে না বলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে ক্ষণিকের জন্য বাইরে বের হয়েছেন। এখন কলেজও বন্ধ, পড়াশোনার চাপ নেই। সন্ধ্যা পর্যন্ত সবাই একসঙ্গে ঘুরবেন। ইফতারের আগে বাসায় ফিরবেন। এসময় অনেককে দেখা গেছে মুখে মাস্ক ছাড়া। মাস্ক না পড়ার বিষয়ে অনেকে জানান, মাস্ক পওে কি হবে। করোনা হওয়ার থাকলে এমনেই হবে।



    সাভারে  বিভিন্ন স্থানে ও অলি-গলিতে মানুষের জটলা

    সম্পর্কে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান,যতক্ষণ পুলিশের উপস্থিতি থাকে ততক্ষণ মানুষ সচেতন থাকে, ঘুরাফেরা করে না। পুলিশ চলে যাওয়ার পর ঠিক আগের অবস্থায় চলে যায়। যদি মানুষ নিজেরা সচেতন না হয় তাহলে কারো পক্ষে তাদের শতভাগ সচেতন করে তোলা সম্ভব নয়। তবুও যাতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত না হয়, সে ব্যাপারে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সবসময় মাইকিংসহ টহল দিচ্ছে।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728