বাঘায় অতিথি পাখি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ আম চাষীদের মধ্যে প্রণোদনা বিতরণ||rajshahirdorpon24
বাঘায় অতিথি পাখি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ আম চাষীদের মধ্যে প্রণোদনা বিতরণ |
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খোর্দ্দ বাউসা গ্রামে বাসাবাধা সহ গত কয়েক বছর ধরে শীতকালে বসছে অতিথি পাখি। এতে করে আম মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বাগান মালিকগন। তাঁদের এ ক্ষতি পুশিয়ে দিতে ওয়াদাবদ্ধ ছিলেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ১১ টায় পাঁচজন বাগান মালিকের হাতে নগদ অর্থ (চেক) তুলে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের বন-২ শাখার উপ-সচিব দীপক কুমার চক্রবর্তী ২০২০ সালের ১ নভেম্বর স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে পাখি বাসা বাধার কারণে আম বাগান মালিকগনকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই মোতাবেক ৩৮টি আম গাছের ৫ জন মালিককে বন অধিদপ্তরের অনুন্নয়ন খাত থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁর কার্যালয়ে পাঁচজন বাগান মালিককে ডেকে বার্ষিক ৩ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা প্রদান করেন।
টাকা প্রদানের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আম বাগানে শামুখখোল পাখি বিগত ৩ বছর যাবত আসছে। প্রাকৃতিক কারণে বা যে কোন সময় পাখি উক্ত স্থান ত্যাগ না করা পর্যন্ত বাগান মালিকদের বাৎসরিক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। যারা এ বছর ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন কারা হলেন, মুঞ্জুরুল হক মুকুল সানার উদ্দীন, সাহাদত হোসেন, শফিকুল ইসলাম মুকুট ও ফারুক হোসেন।
বাগান মালিক শফিকুল ইসলাম মুকুট বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে টাকা প্রদানের অনুমতির চিঠির প্রেক্ষিতে টাকা হাতে পেয়েছি। তবে বাগান মালিকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ৩ বছর ধরে পাখিরা বাগানে আসছে। এর আগের দুই বছরের টাকা মালিকরা যদি পায়, তাহলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক পুষিয়ে আসবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, ৩৮টি আম গাছে পাখী বাসা বেঁধে আছে। সেই আম গাছের সম্ভাব্য দাম ও পরিচর্যার ব্যয় নিরূপন করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দেয়া হয়। সেই মোতাবেক বাগান মালিকরা মঙ্গলবার টাকা (চেক) হাতে পেয়েছেন।
এদিকে রাজশাহী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, মন্ত্রণালয়ের ওই চিঠির প্রেক্ষিতে প্রধান বন সংরক্ষণ (সিসিএফ) কর্মকর্তার দপ্তর থেকে নির্দেশনায় চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা জানান, গত চার বছর থেকে সেচ্ছায় পাখি পাহারা দিয়ে তাদের আগলে রেখেছেন খোর্দ্দ বাউসা গ্রামের পাখি প্রেমি রফিকুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন, বিচ্ছাদ আলী, নাসিম আঞ্জুম, সাইফুল ইসলামসহ গ্রামবাসী। সেই মোতাবেক আম বাগানের ক্ষতি নিরুপন করে পাঁচ জন বাগান মালিককে সর্বমোট ৩ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
No comments