বাঘায় প্রেমের জেরে বাড়িতে হামলা,ভাংচুর,লুটপাটের অভিযোগ, আহত ১২!||rajshahirdorpon24
![]() |
বাঘায় প্রেমের জেরে বাড়িতে হামলা,ভাংচুর,লুটপাটের অভিযোগ, আহত ১২! |
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় কলেজ পড়ু–য়া ছাত্র-ছাত্রীর প্রেমের জের ধরে বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর, আসবাবপত্র ভাংচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মে) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার আড়ানী পৌরসভার নুরনগর (খয়েরমিল) গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, গত রোববার (১৬ মে) দুপুরে প্রাইভেট পড়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়, আড়ানী পৌরসভার চকরপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম রব্বেলের কলেজ পড়ু–য়া ছাত্রী (১৫)। পরে সে আর বাড়িতে ফেরে যায়নি। এতে ছাত্রীর পরিবার সন্দেহ করে, পাশের গ্রামের তানভির আহম্মেদ রুহান ওই ছাত্রীকে নিয়ে গেছে। তানভির আহম্মেদ রুহান নুরনগর (খয়েরমিল) গ্রামের হিরো উদ্দিনের ছেলে। এর জেরে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টায় ছাত্রী পক্ষের লোকজন কলেজ ছাত্র তানভির আহম্মেদ রুহানের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে।
তানভির আহম্মেদ রুহানের পিতা হিরো উদ্দিন জানান, পৌর কাউন্সিলর লিটনের নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন লোক দেশীয় অস্ত্র-লোহার রড,হাতুড়ি,চাইনিচ কুড়াল,রামদা নিয়ে বাড়িতে হামলা করে। তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা,স্বর্ণালংকারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি তার।
হামলাকারিদের প্রতিহত করতে গিয়ে তার পক্ষের আহত হয়েছে, তার মা সানোয়ারা(৬০), সাহাদত হোসেনের ছেলে আবদুল করিম (৫৫), ইয়াছিন মন্ডলের ছেলে ইকবাল হোসেন (২৮), জোয়াদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), মুক্তার হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন (২৫), আনোয়ার হোসেনের ছেলে লালন উদ্দিন (৪৫)।
গুরুতর আহত, আবদুল করিম, ইকবাল হোসেন ও সানোরা বেগমকে উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। হিরো উদ্দিন জানান, প্রেমের সম্পর্কে তারা বিয়ে করে কোথায় আছে জানিনা। তাদের আইনের আশ্রয় নিতে বলেছিলাম। একথা জানানোর পরেও ১৬ মে গভীর রাতে দলবল নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছিল কাউন্সিলর লিটন। তারপর থেকে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও যেতে পারিনি।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন হোসেন বলেন, (ছাত্রীর পিতা, জহুরুলের ইসলাম রব্বেলের সহোদর ভাই) ছাত্রীর খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য হিরো উদ্দিনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তার লোকজন আমার লোকজনের উপর হামলা চালায়। এতে আহত হয়েছে, কাজী আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৪), রুমেল আলী (২২), রুবেল আলী (২৫), সুকুর আলীর ছেলে শাওন আলী (২২), আশকান আলীর ছেলে সাজেদুল ইসলাম (৩৮), জুব্বার প্রামানিকের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫)। এদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম, রুমেল আলীকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন । তবে লুটপাটের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর।
ছাত্রীর পিতা জহুরুল ইসলাম রব্বেল বলেন, তার মেয়ে কোথায় আছে তারা জানে। কিন্তু কোন মতে শিকার করেনি। বিষয়টি জানার জন্য তার সহোদর ভাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর লিটন হোসেনসহ আতœীয়দের নিয়ে হিরো উদ্দিনের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছিলেন। অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments