বাঘায় ড্রেন কাটার প্রতিবাদ করে জখম হলেন ৬জন!||rajshahirdorpon24
বাঘায় ড্রেন কাটার প্রতিবাদ করে জখম হলেন ৬জন! |
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় নালা(ড্রেন) কাটতে বাঁধা দেওয়ায়,৬জনকে মারপিট করে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার হাবাসপুর গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভ’গি কাউছার আলী বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ ৮জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,গত রোববার (৬জুন) বিকেল ৪টায় বাদি কাউছার আলীর নিকটতম প্রতিবেশি, হাসমত আলী তার বাড়ির আঙিনার পানি নিষ্কাশনের জন্য কাউছার আলীর অংশের জমিতে নালা কাটছিলো।
এর প্রতিবাদ করছিলেন কাউছার আলী। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে হাসমত আলীসহ তার পক্ষের বাবুলের ছেলে রাজিব ও হাবিল,ছুরাপের ছেলে পলান ও বাবুল, পলানের দুই ছেলে মাসুদ রানা ও হালিম ইসলাম,হযরতের ছেলে হাসমত এবং ছানোয়ার ইসলামের ছেলে সুমন, বাদি কাউছার আলীর বাড়ির অঙিনায় গিয়ে অল্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এনিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ রাজিব মারতে হুকুম দেয়। এসময় মাসুদ রানা বাঁেশর লাঠি দিয়ে কাউছার আলীকে মারপিট করতে থাকে। তাকে উদ্ধার করতে যায় বড় ভাবি রঙিলা। এসময় রাজিব লোহার রড দিয়ে রঙিলাকেও মারপিট করে। সে মাটিতে পড়ে গেলে হাবিল ও বাবুল গাছের ডাল দিয়ে আরেক দফা মারপিট করে।
তাদের বাঁধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছে কাউছারের বড় ভাই মুক্তার আলী,তার মা ছাইরা বেগম ও স্ত্রী পারভিন। হালিম ইসলাম ও সুমনসহ অন্যরা তাদেও বাঁেশর লাঠি লোহার রু দিয়ে মারপিট করে। এতে তারাও জখম হয়। এছাড়া রাজিবের বিরুদ্ধে পারভিনের গলা থেকে ৩৫ হাজার টাকা দামের সোনার চেইন ছিড়ে নেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর, ছাইরা বেগম ও রঙিলাকে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিপক্ষদের না পাওয়ায়,তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি। তবে তদন্ত কওে সত্যতা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারি অফিসার।
অভিযোগ তদন্তকারি অফিসার উপপরিদর্শক(এসআই) আব্দুর রউফ বলেন, তদন্ত করে ড্রেন কাটা নিয়ে মারপিটের সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়নি। স্থানীয়ভাবে মিমাংসা না হলে মামলা রেকর্ড করা হবে বলে জানান এই পুলিশ অফিসার।
No comments