তানোরে গৃহবধুকে হত্যার চেস্টা ও শ্লীলতাহানি! rajshahirdorpon24
ফাইল ফটো |
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে পুর্ববিরোধের জের ধরে এক গৃহবধুকে হত্যার চেস্টা ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখানো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গ্রামবাসির মধ্যে চরম অসন্তোষের সৃস্টি হয়েছে। উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির শাহাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অসহায় গৃহবধু পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এদিকে গত ৫ জুলাই সোমবার ওই গৃহবধু নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেছেন।
জিডি সুত্রে জানা গেছে,উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির শাহাপুর গ্রামে পূর্ববিরোধের শজের ধরে ৫ জুলাই সকালে আসামী ইসাহাক আলীর পুত্র জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান, আবু সাইদ ও তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন এবং মৃত আমিনুল হোসেনের পুত্র আক্তার হোসেন তারা ওই গৃহবধূর বাড়ীর সামনের রাস্তায় এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এ সময় ওই গৃহবধু বাড়ী থেকে বের হয়ে আসামীদের গালিগালাজ বন্ধ করতে বললে তারা মারমুখি হয়ে তার ওপর হামলা করে এবং এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে এলাকা ছাড়া করাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয় প্রকাশ্যে দিবালোকে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। ভূক্তভোগী গৃহবধু জানান, একই গ্রামের ‘মামলাবাজ’ হিসাবে পরিচিত নাসিমা খাতুন হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ববিরোধের জের ধরে গত ১৯ জুন আমিসহ আমার স্বামী বাবুল ইসলাম, বাবা দুরুল ইসলাম, মা জায়েদা বিবি, মামা নাসির উদ্দীন ও নানী সখিনার উপর তানোর থানায় একটি হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলা করা হয়।
সেই মামলায় আমি জামিন হয়ে বাড়ী ফেরার পর আবারো আমার ও পরিবারের উপর বিভিন্ন জুলুম আরম্ভ করেছে। তিনি বলেন, আমরা অসহায় আমরা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি মামলাটি সরেজমিন তদন্ত করা হোক, মামলার ঘটনা সত্যি হলে আমরা যেকোনো শাস্তি মেনে নিবো।
এ বিষয়ে তানোর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম গৃহবধূর অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় একটি সাধারন ডায়রি এন্ট্রি করা হয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
No comments