Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার!||rajshahirdorpon24

     

    ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে তরুণী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার!

    মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি:

    ঢাকার ধামরাইয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।


    ধামরাই থানাধীন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ মশিউর রহমান, শনিবার (৩ জুলাই) রাতে ঢাকার মেরুল বাড্ডা থানার এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করে। আসামি মোঃ জনি মিয়া (৩২) গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সিনাবহ গ্রামের মৃত খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার চৌহাট ইউনিয়নের চৌহাট গ্রামে মামা ইলিয়াস হোসেনের বাড়িতে থেকে ডিস লাইনের ব্যবসা করত।


    এরআগে, গত ০২ মে ওই তরুণী বাদী হয়ে জনি মিয়া ও তার খালা লুৎফা আক্তারকে আসামি করে ধামরাই থানায় মামলাটি করেছিলেন।


    মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি জনি মিয়া ডিস লাইনের ব্যবসা করত। ডিস লাইনের ব্যবসার সুবাদে জনির সাথে ওই তরুণীর পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের কয়েক বছর পর জনি ও তার খালা লুৎফা আক্তার ওই তরুণীর বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেই সুবাদে বখাটে ওই যুবক শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিলে তা ওই তরুণী প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু ধর্ষকের খালা বিভিন্ন প্ররোচনা করে ওই তরুণী ও জনিকে এক রুমে রেখে বাহিরে পাহাড়া দেয়। তারপর থেকে চলতে থাকে অবৈধভাবে মেলামেশা। এক পর্যায়ে ওই তরুণী যখন সন্তান সম্ভাবনা তখন বিষয়টি জনি ও লুৎফা আক্তারকে জানালে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। নিরুপায় হয়ে ধামরাই থানায় ওই তরুণী বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।


    কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক মোঃ মশিউর রহমান বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি মিয়া মামলা হওয়ার আগে থেকেই পলাতক ছিল। জনিকে আটক করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। জনি'র কোন ছবি ও মোবাইল নাম্বার নেই। এমনকি কোন আত্মীয়ের বাড়িতেও তাকে পাওয়া যায়নি।


    মামলার প্রধান আসামি জনিকে আটক করতে বার বার বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হয়েছে। ধর্ষণ মামলা ছাড়াও অপহরণের মামলা রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ধারণা করা হচ্ছে, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত থাকতে পারে জনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।


    কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জনি মিয়া মামলার আগে থেকেই আত্মগোপনে ছিল। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার ও এসআই মশিউর রহমানের পারদর্শিতায় আসামিকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728