Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    ডামুড্যায় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগ মেয়ের বাবা- মার!||rajshahirdorpon24

     

    ফাইল ফটো

    মোঃ জাকির হোসেন, ডামুড্যা(শরীয়তপুর) প্রতিনিধিঃ-

    ডামুড্যায় মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে  পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগ মেয়ের বাবা- মার,

    গতকাল ৩ই আগষ্ট গোসাইরহাট থানার ইদুলপুর ইউনিয়নের ধীপুরগ্রামে তারা বেগমা(২০) গৃহবধূকে হত্যা করে ফ্যানর সাথে ঝুলিয়ে রাখে শ্বশুর হাজী গিয়াসউদ্দিন খান(বীর মুক্তিযোদ্ধা)ও ননদের স্বামী মিজান।

    মেয়ের বাবা আলমগীর কবির গোসাইরহাট থানায় হাজী গিয়াসউদ্দিন খান ( বীর মুক্তিযোদ্ধা) কে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করতে চাইলে গোসাইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, হাজী গিয়াসউদ্দিন খান একজন মুক্তিযোদ্ধা, তিনি বয়স্ক ও অসুস্থ  তাকে আসামী করা যাবে না।তাকে বাদদিয়ে অন্যদের কে আসামী করে মামলা করতে চাইলে মামলা নিতে পারি।

    মেয়ের বাবা সাংবাদিকদের বিষয়টা জানায়। সাংবাদিকরা থানার অফিসার ইনচার্জ সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে একই কথা বলে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন জিডি বা মামলা গ্রহণ করেনি।

    হাজী গিয়াসউদ্দিন খান এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সরাসরি কোনো সাক্ষাৎ দিতে অস্বীকার করে।


    ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়ন এর মোঃআলমগীর কবির মেয়ে তাঁরা বেগম(২০)

    এবং শিধলকুড়া ইউনিয়ন এর হাজী গিয়াসউদ্দিন খান এর ছেলের মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ (২৮) এর সাথে বিগত আট মাস যাবত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।


    তাঁরা বেগমের শ্বশুর পরিবার ঢাকার সাভার বসবাস করায় বিয়ের পরই তাকে সাভার নিয়ে যায়।অল্প কয়েকদিনে তাঁরা বেগম বুঝতে পারে তার স্বামী শারীরিকভাবে অক্ষম। চক্ষু লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি।কিন্তু তাঁরা বেগম তার বড় বোন কে ফোন করে জানায় এবার আসলে আমি যাবোনা।ছেলের দুর্বলতা বুঝতে পেরে হাজী গিয়াসউদ্দিন খান এর লোলুপদৃষ্টি পুত্রবধূর উপরে পরে। 


    বিষয়টি কানা ঘোষা হয়ে গেলে তাঁরা বেগম কে বাবার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসার কথা বলে ননদের বাসায় নিয়ে যায়। তাঁরাকে মেরে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে তাঁরার বাবা মা কে মোবাইল করে তাঁরা গলায় ফাঁস নিয়ে মারা গেছে। তাঁরা বেগম এর বাবা মা ও গোসাইরহাট থানা পুলিশ যাওয়ার আগেই হাজী গিয়াসউদ্দিন খান তাঁরা বেগম কে ফাঁসি থেকে নামিয়ে গোসাইরহাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।


    গোসাইরহাট অফিসার ইনচার্জ লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এমনই অভিযোগ গুলো তাঁরা বেগমের বাবা মার।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728