Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় রশিতে ঝুললো যুবক, অজানা মৃত্যু রহস্য!||rajshahirdorpon24

     

    ফাইল ফটো


    স্টাফ রিপোর্টার বাঘা:

    ছয় বছর আগে বাবা এমদাদুলকে ছেড়ে চলে গেছে সুমনের মা রিপা বেগম। তখন তার বয়স ছিল ১২ বছর। বাবা এমদাদুল আরেকটি বিয়ে করলেও সুমনের বেড়ে উঠা দাদির আদরে। সেই সুৃমনকে পাওয়া গেল শয়ন কক্ষে রশিতে  ঝুলন্ত অবস্থায়। 


    সোমবার (৬-৯-২০২১) রাত পৌণে ৯টায় সুৃমনের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিবেদিতা চেট্রারজি তাকে মৃত ঘোষনা করেন। রুগী ভর্তির রেজিষ্ট্রারে তার বয়স লেখা হয়েছে ১৮ বছর। সুমনের বাড়ি উপজেলার খায়েরহাট গ্রামে। ঘটনাটি ঘটেছে তার নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে। মুত্যু রহস্য নিয়ে নানা মনে নানান প্রশ্ন থাকলেও কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৭-৯-২০২১) সকাল ৯টায় গ্রামের (খায়েরহাট) মধ্যপাড়া গোরস্থানে সুমনকে দাফন করা হয়েছে।


    সুমনের সৎ মা পিনজিরা বেগম জানান, গত সোমবার তাকে বাড়িতে রেখে সন্ধ্যা রাত ৭টার পরে হাটতে বের হোন। রাত ৮টায় বাড়ি ফিরে দেখেন,সাগর নামের এক প্রতিবেশি তাকে জানালা দিয়ে ডাকাডাকি করছে। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারাসহ গ্রামের লোকজন  বাড়ির পূর্ব দুয়ারি ঘরের জানালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন,  গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তীরের সাথে পাটের রশিতে ঝুলছে । পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।  


     প্রতিবেশি সাগর জানান, তারা একেসাথে দিন মজুরির কাজ করে। কাজে যাওয়ার জন্য ওইদিন রাত প্রায় ৮ টার দিকে তার বাড়িতে যান।  ঘরের দরজা বন্ধ দেখে  জানালা দিয়ে ডাকাডাকি করেন। কোন সাড়া  পাননি। পরে গ্রামের লোকজন স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। 


    সুমনের বিমাতাসহ গ্রামের কেউ কেউ জানান, তার মাথার সমস্যা ছিল। কিন্তু তাকে কোন ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়নি। সে মাদকাসক্ত ছিল বলেও দাবি করা হয়। সুমনের বাবাও একজন অসুস্থ মানষিকতার লোক।  রোজগারের তাগিদে ভ্যান নিয়ে ওই সময় বাইরে ছিলেন।

     

    বাঘা থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) আব্দুর রউফ জানান, ঘরের জানালা ভেঙ্গে লোকজন ভেতরে প্রবেশ করে দরজা খুলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালে লাশ রেখে সরেজমিন তদন্ত করে জানেন, বাবা আরেকটি বিয়ে করে আলাদা থাকতো। দাদির কাছেই থাকতো সুমন। সে মাদকাসক্ত ছিল বলে এলাকার অনেকেই বলেছে।  কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 


    তবে এ বিষয়ে ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। (মামলা নং-১৪,তাং-৬-৯-২০২১ইং)।

    অফিসার ইনচার্জ(ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728