Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় বিধবার মেয়েকে নাসিং-এ ভর্তির সুযোগ করে দিলেন উপজেলা প্রশাসক ||rajshahirdorpon24

     


    স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:    

    বাঘা উপজেলা প্রশাসক পাপিয়া সুলতানার আর্থিক সহায়তায় উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে মোসাঃ লিমা খাতুন, নার্সিং ইন্সটিটিউটে ভর্তির সুযোগ পেলেন। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে , চাপাই নবাবগঞ্জ নার্সিং ইন্সটিটিউটে (ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি) ভর্তির সুযোগ পায় লিমা খাতুন।


    ভর্তি পরীক্ষায় ১৫০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ১১৪.৮৬। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে টাকার অভাবে সে নার্সিং ইন্সটিটিউটে ভর্তি হতে পারছিল না। পরে আনসার ভিডিপি অফিসার মিলন দাসের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তার জন্য উপজেলা প্রশাসকের কাছে যান। মঙ্গলবার (১৯-১০-২০২১) বিকেলে ভর্তির জন্য নগদ ১৫ হাজার টাকা এককালীন আর্থিক সহায়তা তুলে দেন উপজেলা প্রশাসক। এসময় উপস্থিত চিলেন,পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সহোদর ভাই,নর্থ বেঙ্গল এ্যার্গ্রাে ফার্ম লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল আলম বাদল,  রেডিও বড়ালের সিইও,শাহরিয়ার লিন মুকলেচ, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল,কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান প্রমুখ।  


    ইউএনও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আগে সে আমার কাছে এসেছিল। তখনও তাকে সহযোগিতা করা হয়েছে। 

    লিমা খাতুন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর হোসেন ও মেরিনা বেওয়ার মেয়ে। জাহাঙ্গীর-মেরিনা দম্পতির ৩ মেয়ের মধ্যে লিমা খাতুন সবার ছোট। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি লিমা খাতুনের বাবা ছিলেন একজন দর্জি। ১৩ বছর আগে মারা যান  দার বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন।


    বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী লিমা খাতুন ছোট থেকেই চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। স্বপ্ন পূরণের জন্য অধিকাংশ সময়ই লেখাপড়ার পেছনে ব্যয় করেছেন। লিমা খাতুন জানান, স্কুল-কলেজে পড়াশুনার সময় মন চাইলেও একটা ভালো পোশাক কিনতে পারতাম না। মা-বাবা খুশি হয়ে যা কিনে দিতেন আমি তাতেই খুশি থাকতাম। স্কুল-কলেজে পড়ার সময় স্যাররা অনেক সহযোগিতা করেছেন। তিনি এসএসসিতে ২০১৮ সালে আলাইপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে  জিপিএ ৪.৭২ ও রাওথা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৮৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।  


    মাতা মেরিনা বেওয়া বলেন,শিক্ষা জীবনজুড়েই আর্থিক দুশ্চিন্তা ছিল লিমা খাতুনের নিত্যসঙ্গী। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিল বলেই নিজের ইচ্ছার জোরে পড়া লেখা করেছে। খুব কষ্টে বিয়ে দিয়েছেন দুই মেয়ের। বড় মেয়ে আরিফা খাতুন অনার্সে পড়া লেখা করছে। স্বামীর রেখে যাওয়া বাড়ি ভিটার ২কাঠা জমিই তার সম্বল। তিনি দর্জিও কাজ করে সংসার চালান।


    ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বলেন,ছোটবেলা থেকেই দেখছি খুব ভাল ও ভদ্র মেয়ে সে।  বাবার মৃত্যুর পর তার মা অনেক কষ্ট করে  দুই মেয়েদের লেখাপড়া করিয়েছেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে তাদের সহযোগিতা করেছি।



       

       


    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728