বাঘায় শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ লাগাতে ব্যস্ত গাছিরা
বাঘায় শীতের শুরুতেই খেজুর গাছ লাগাতে ব্যস্ত গাছিরা |
আব্দুল হামিদ,বাঘা(রাজশাহী) :
শীতের শুরুতে প্রকৃতিতে চলছে বৈরী আচরণ আবহাওয়া পরিবর্তনে ফলে পুরো শীতকালে যেন শীতের দেখা মিলছে না। তারপরেও থেমে নেই খেজুর চাষীদের কাজ শীতের আমেজ পড়তে না পড়তেই গাছিদের খেজুর গাছ লাগানোর ব্যস্ততা বেড়ে গেছে।
বাঘা উপজেলার পীরগাছা গ্রামের গাছিরা দলবেঁধে এলাকার বিভিন্ন গাছ মালিকদের খেজুর গাছ রসের জন্য চুক্তি নিয়ে গাছ লাগাতে শুরু করে দিয়েছে। বাঘা উপজেলার বাউসা গ্রামের রুস্তম সরকার জানান, আমরা প্রতিটি খেজুরগাছ চুক্তি করেনি। গাছ মালিকদের কাছ থেকে কারো কাছ থেকে গাছ প্রতি অর্ধেক গৌড় বা গাছের মূল্য দিয়ে চুক্তি নিয়ে থাকে। খেজুরের রস গুড়ের চাহিদা ও কদর রয়েছে দেশজুড়ে। শীতের সময় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে খেজুরের গুড় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেপারী আসেন গুড় ক্রয় করতে স্থানীয় হাট বাজার থেকে এসব খেজুরের গুড় কিনে নিয়ে যায়। শীতের দিনে শহর ও গ্রাম অঞ্চলে খেজুর গুড়ের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
বাজুবাঘা গ্রামের খেজুর গাছি বেলাল জানান, এমনিতে গাছের সংখ্যা কম তার ওপর আবার জ্বালানি খরচ বেশি তাই গুড় তৈরিতে আগের মত আর লাভ হয় না। শুধু বাপ-দাদার পেশা তাই ধরে রেখেছি। বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি খেজুরের গুড় পাইকারি ৮০ টাকা এবং ৯০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকা থেকে হাটে আসা বেপারী কফিল উদ্দিন জানান, এবার গুড়ের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি খাজনা যানবাহন খরচসহ যে মূল্য পরছে তাতে করে লাভ হবে কিনা জানিনা। যেহেতু এসেছি তাই গুড় কিনেছি । আড়ানী হাটের ইজাদার জানান, শনিবার এবং মঙ্গলবার এখানে হাট বসে। ভরা মৌসুমে অতি হাটে ১০ থেকে ১৫টি ট্রাক ভর্তি হয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন শীতের শুরু হবার কারণে গরম হচ্ছে তাই বিক্রিয় কম।
এ ব্যাপারে কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জানান, খেজুর গাছের সংখ্যা কমে গেলেও গুড়ের মান ভালো হবার কারণে দেশজুড়ে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তার পরেও স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা পৌঁছে যায় খেজুরের গুড় দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়ে থাকে।
No comments