Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘায় ইউপি নির্বাচন: কোমর বেঁধে মাঠে আ’লীগ প্রার্থীরা বিদ্রোহীর ভিড়ে জয়ের সুযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের||rajshahirdorpon24

     

    বাঘায় ইউপি নির্বাচন: কোমর বেঁধে মাঠে আ’লীগ প্রার্থীরা বিদ্রোহীর ভিড়ে জয়ের সুযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীদের


    স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:

    চতুর্থ ধাপে ( ২৬ ডিসেম্বর) রাজশাহীর বাঘা উপজেলার তিন ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইউনিয়নগুলো হলো- আড়ানী,বাউসা ও  যোগাযোগ বিছিন্ন পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর।  ইউনিয়ন ৩টিতে চেয়ারম্যান পদে  প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের  দলীয় ৩ প্রার্থীসহ ৮ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অবজ্ঞা করে দুটি ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ২ বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জন করলেও স্বতন্ত্রের আড়ালে দুইটি ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বিএনপির দুই প্রার্থীরা। 

    আড়ানী ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  দলীয়  প্রার্থী, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ,সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন (আনারস),বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির এনামুল হক (হাতুড় মার্কা) স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাতাব আলী (মোটরসাইকেল) ।


    বাউসায় ৩জন হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের  দলীয়  প্রার্থী শফিকুর রহমান  (নৌকা), বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (আনারস) ও আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ (মোটরসাইকেল)। চকরাজাপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডিএম বাবুল মনোয়ার (নৌকা), আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম (আনারস)। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আ’লীগের দুই নেতা নুর মোহাম্মদ ও আজিজুল আযমকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।  


    তবে আত্মীয়তার বন্ধন ও গোষ্ঠীতন্ত্রের কারণে বিএনপি ও বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে গোপনে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করছেন কেউ কেউ। এতে ভোটের সমীকরণে আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন, ৩টি ইউনিয়নের দু-একটি ছাড়া আওয়ামী লীগের বিপর্যয় ঘটতে পারে। আর এই সুযোগটিকেই সম্ভাবনা হিসেবে কাজে লাগাতে মরিয়া স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

    চকরাজাপুর ইউনিয়নের আহম্মদ আলী বলেন, প্রতীক দেখে নয়,ব্যক্তি দেখে ভোট দিবেন। ওই ইউনিয়নের মন্টু নামের একজন বলেন,আ’লীগ করি, তাই প্রতীক দেখে ভোট দিবেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির সর্মথকরা বলেছেন ব্যক্তি দেখে ভোট দেওয়ার কথা। তাদের কথায় কেই কারো চাইতে পিছিয়ে নেই। সবাই সমান সমান।


    এদিকে বিজয়ের সম্ভাবনাকে হাতছাড়া না করে, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলা কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা প্রায় প্রতিদিন ইউনিয়নে ইউনিয়নে প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন। 

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুর ইসলাম বাবুল জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী দুইজনের বিরুদ্ধে দলগত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশমতে বহিস্কার করা হয়েছে। দলের সব নেতা-কর্মী নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। জয়ের আশা তাদেরই।


     উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবুলের কাছে দলীয় সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে গোষ্ঠীগত ও আঞ্চলিকতার কারণে কেউ যদি চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনে অংশ নেন সেক্ষেত্রে কাউকে নিষেধ করা হয়নি।

    রাজশাহী জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও নির্বাচন অফিসার  বলেছেন,ভোট কেন্দ্রে ও ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাই শঙ্কার কোন কারন নেই।


     উল্লেখ্য,অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ৮ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আড়ানি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন,  বাউসায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও  চকরাজাপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন সাধারণ সদস্য পদে ২৬ জন ও প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।


     নির্বাচন কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে,তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে, আড়ানী ইউনিয়নে সম্ভব্য মোট ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৮৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৪১৩ ও নারী ৪ হাজার ৪৭১ জন। বাউসা ইউনিয়নে সম্ভব্য  মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩১ ও নারী ১২ হাজার ৪৪ জন। চকরাজাপুর ইউনিয়নে সম্ভব্য মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৫৬ ও নারী ৪ হাজার ৭৫৪ জন।

    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728