বাঘায় বিষপানে শিক্ষকের মৃত্যু!||rajshahirdorpon24
ফাইল ফটো |
স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা:
রাজশাহীর বাঘায় মানষিক যন্ত্রনায় এক শিক্ষকের বিষপানে আতœহত্যার খবর পাওয়া গেছে। তার নাম অমুল্য চন্দ্র প্রামানিক (৫৪)। তিনি উপজেলার তেঁথুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক ও উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের বেনুপুর গ্রামের মৃত সুরেন্দ্রনাথ প্রামানিকের ছেলে বলে জানা গেছে। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) নিজ বাড়িতে বিষপান করেন শিক্ষক অমুল্য চন্দ্র প্রামানিক । তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান তিনি।
শিক্ষকের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে,দীর্ঘদিন থেকে মানষিক যন্ত্রণায় ভূগছিলেন। বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা নিয়েও ভালো হয়নি। রোববার সকালে তাঁকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান ওই শিক্ষকের স্ত্রী। তারপর থেকে তাঁর মাথার যন্ত্রণা বাড়তে থাকে।
এ অবস্থায় কাউকে কিছু না জানিয়ে বিষপান করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক অমুল্য চন্দ্র প্রামানিকের ভাতিজা বিপ্লব চন্দ্র প্রামানিক জানান, সোমবার সকালে তিনি তাঁর চাচা বাড়ি বাড়িতে গিয়ে দেখেন বিছানায় শুয়ে আছেন। সেখানে গিয়ে দেখেন, চাচার মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হচ্ছে এবং বিষের গন্ধ বের হচ্ছে। এ সময় সেখানে একটি বিষের বোতল পড়ে থাকতে দেখেন। বিষপাণের সন্দেহে স্থানীয়দের সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে যান। অবস্থা বেগদিক দেখে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তার চাচা দীর্ঘদিন থেকে মানষিক যন্ত্রণায় ভূগছিলেন বলে জানান তিনি। ওষুধ খেয়েও মাথার যন্ত্রণা ভাল হচ্ছিলনা।
বাউসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ তুফান বলেন, তিনি ঋণগ্রস্থ হয়েছিলেন। সপ্তাহখানেক আগে সাথে কথা হয়েছিল। এ সময় তিনি বলেন, তাঁর সকল ঋণ পরিশোধ হয়ে গেছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শিক্ষক অমুল্য চন্দ্র প্রামানিক যে বিষপান করেছে, তাতে কোন সন্দেহ নাই। এ বিষয়ে কোন াভিযোগ করা হয়নি। তবে এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।
No comments