তানোর হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা মিলছে না!||rajshahirdorpon24
তানোর হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা মিলছে না |
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা মুখ থুবড়ে পড়েছে।এতে রোগীরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না।উপজেলার প্রায় ৫ লাখ মানুষ কাঙ্খিত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে হাসপাতাল নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে এতে হাসপাতালেরই এখন চিকিৎসা দেবার প্রয়োজন।স্থানীয়রা জানান, নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই চলছে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। এখানে এক্স-রে মেশিন তালবদ্ধ আর আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন বিকল বছরের পর বছর। সেইসঙ্গে রয়েছে নানা সংকটও। একদিকে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, অন্যদিকে যারা আছেন তাদের বিরুদ্ধেও রয়েছে দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ। জানা গেছে, উপজেলা হাসপাতালে ২২ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। অথচ অবকাঠামো থাকার পরেও নীতিমালা লঙ্খন করে উপজেলার তালন্দ, কামারগাঁ, চৌরখৈর, মুন্ডুমালা ও মাদারিপুর ৫টি ইউপি স্বাস্থ্য-উপকেন্দ্রের কর্মরত চিকিৎসক কমিউনিটি স্বাস্থ্য উপসহকারী কর্মকর্তাদের (সেকমো) উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে আউটডোরেে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এতে এসব এলাকার মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ফলে চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত এসব মানুষদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। আবার হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকার পরেও শুধুমাত্র এন্টাসিড ও প্যারাসিটামল ট্যাবলেট দিয়ে বাঁকি ওষুধ বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ লিখে রোগীদের কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে ২২ জুন বুধবার সরেজমিন, হাসপাতালে ঘুরে দেখা গেছে, ইমারজেন্সি বিভাগে নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র। এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওষুধ কোম্পানীর রিপেজন্টেটিভের সঙ্গে আলাপ চারিতায় ব্যস্ত। কিন্তু বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে রোগীরা অপেক্ষা করছে। দেখে বোঝার উপায় নাই কে চিকিৎসক, কে কোম্পানীর লোক, কে রোগী ধরা দালাল সব মিলেমিশে একাকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দোতলায় ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক ভুক্তভোগির পরিবার জানান, হাসপাতালের রোগীর বিছানায় ব্যবহৃত চাদর ও বালিসের কভারগুলো ময়লাযুক্ত দূর্গন্ধেভরা। রোগীর খাবার অত্যান্ত নিম্নমানের। ওয়ার্ড নার্সরা কক্ষ বন্ধ ভিতরে থাকেন। প্রয়োজনে রোগীর অভিভাবকরা নার্সদের ডাকলেও ভেতর থেকে কোন আওয়াজ আসে না। এছাড়া হাসপাতাল থেকে সরকারি ওষুধ আর প্রয়োজনীয় চিকিৎসা রোগীদের দেয়া হয় না। এবিষয়ে জানতে চাইলে তালন্দ ইউপি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কমিউনিটি উপসহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (সেকমো) ডা, মিজানুর রহমান মিজান বলেন, তালন্দতে অবকাঠামো নাই, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের আদেশে তিনি হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা দিচ্ছেস।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত (টিএইচও) ডাঃ আব্দুল হাকিম নানা অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবকাঠামো সমস্যার কারণে স্থানীয় নির্দেশে সেকমোদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে আউটডোরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, অবকাঠামো সমস্যা থাকলে সেকলোদের উপজেলা হাসপাতালে নেয়া যাবে, তবে অবকাঠামো থাকলে সেটা করা যাবে না।
No comments