ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নফাঁস হলে আইনি ব্যবস্থা: এনসিটিবি
ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের প্রশ্নফাঁস হলে আইনি ব্যবস্থা: এনসিটিবি |
দর্পণ ডেস্ক:
নতুন শিক্ষাক্রমে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৫০ লাখ শিক্ষার্থীর ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন শুরু হয়েছে বুধবার (৩ জুলাই)। এদিন চারটি শ্রেণিতে যে চার বিষয়ে মূল্যায়ন হয়, তার প্রশ্নপত্র (মূল্যায়ন নির্দেশিকা) আগেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এ মূল্যায়নের সমাধান লিখেও ফেসবুক ও ইউটিউবে ছড়িয়ে দেন শিক্ষক ও কোচিং ব্যবসায়ীরা।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এ নিয়ে জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। অবশেষে এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে এনসিটিবি। এখন থেকে যারা মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র ফাঁস করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) এনসিটিবির চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্বে) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, নতুন মূল্যায়ন পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র নৈপুণ্য অ্যাপের মাধ্যমে আগের রাতে প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিজস্ব আইডিতে পাঠানো হচ্ছে। কোনো কোনো শিক্ষক তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছেন, যা শিক্ষকতার নৈতিকতাবিরোধী কার্যক্রম এবং চরম অ-শিক্ষকসুলভ আচরণ।
নৈপুণ্য অ্যাপস ট্রাকিংয়ের আওতায়। কোনো শিক্ষক যদি এ ধরনের কার্যক্রম করেন, তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব। কোনো শিক্ষক যদি এ ধরনের কার্যক্রম করেন, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষকদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা দিয়ে এনসিটিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মূল্যায়ন কার্যক্রমের নির্দেশনাগুলো বিস্তারণের মতো এমন স্পর্শকাতর একটি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
শিক্ষা প্রশাসন সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাক্রমে এবারই প্রথম সারাদেশে একসঙ্গে একই প্রশ্নপত্রে একযোগে মূল্যায়নে অংশ নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির প্রায় ২০ হাজার ৬৩৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫০ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত।##
No comments