Header Ads

  • সর্বশেষ খবর

    বাঘা ও চারঘাটে সবজির দামে বড় পতন, স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ মানুষের মুখে

     

    বাঘা উপজেলা 

    আব্দুল মতিন, রাজশাহী:

    গত সপ্তাহের তুলনায় বাঘা ও চারঘাটের বাজারে সবজির দামে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চমূল্যের চাপ সামলানো ক্রেতাদের জন্য অনেকটা স্বস্তির বিষয়।


    আজকের বাজারে আলু প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৭০ টাকা। কপি আজ ২৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ টাকা। শিমের দাম কমে ৪০ টাকায় নেমে এসেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৭০ টাকা। শশা আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা।


    এছাড়া বেগুনের দাম ৪০ টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। কাঁচামরিচের দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এখন এটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। মুলার দাম ২০ টাকা, যা আগে ছিল ৩০-৪০ টাকা। পটলের দাম কমে ৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে, যা গত সপ্তাহে ৬০ টাকা ছিল। পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। রসুনের দামও কিছুটা কমে ২৪০ টাকায় এসেছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৫০ টাকা।



    সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এবং আবহাওয়ার অনুকূল পরিস্থিতি সবজির দামে এই বড় পতন ঘটিয়েছে। রুস্তমপুর বাজারে সবজি ব্যবসায়ী শামীম হোসেন বলেন, "গত সপ্তাহে সরবরাহ কম থাকায় অনেক সবজির দাম বেড়ে গিয়েছিল। তবে এখন ফসল মাঠ থেকে বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ কারণে সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। আশা করছি, আগামী কয়েক সপ্তাহেও এই প্রবণতা বজায় থাকবে।"


    চারঘাটের আরেক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, "এই মৌসুমে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম কমেছে। তবে পরিবহন খরচ বেড়ে গেলে আবারও দামের ওঠানামা হতে পারে। তবে আপাতত বাজারে স্থিতিশীলতা আছে।"


    সবজির দাম কমায় ক্রেতারা বেশ সন্তুষ্ট। বাঘার গৃহবধূ চয়না বেগম বলেন, "গত সপ্তাহে বাজার করতে গিয়ে সবজির দাম দেখে হতবাক হয়েছিলাম। একসঙ্গে কয়েকটি সবজি কেনা সম্ভব হতো না। আজ বাজারে এসে দেখি সবজির দাম অনেক কমে গেছে। এতে সংসারের খরচ অনেকটা বাঁচবে।"


    চারঘাটের দিনমজুর নাসির উদ্দীন বলেন, "আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এই দাম কমা বিশাল স্বস্তি। গত সপ্তাহে এক কেজি বেগুন কিনতেই পকেট ফাঁকা হয়ে যেত। এখন বেগুন, শিম, মুলা—সব কিছুই সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা দিয়ে অন্য প্রয়োজন মেটানো যাচ্ছে।"


    সবজি ব্যবসায়ীরা সতর্ক করেছেন, পরিবহন খরচ বাড়লে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিলে দামে আবারও ওঠানামা হতে পারে। তবে আপাতত বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় এবং দাম কম থাকায় ক্রেতারা স্বস্তি প্রকাশ করছেন।



    No comments

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728