চারঘাটের প্রিয় মুখ মুল্লুক আলী: শেষ বিদায়ে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া
চারঘাটের প্রিয় মুখ মুল্লুক আলী |
আব্দুল মতিন, চারঘাট (রাজশাহী)
চারঘাট উপজেলার চক লক্ষীপুর গ্রামের অত্যন্ত জনপ্রিয় ও প্রিয় মুখ, সহজ-সরল মানুষ মুল্লুক আলী আজ না ফেরার দেশে চলে গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রায় ৫০ বছর ধরে তিনি আইসক্রিম, বাদাম, চানাচুরসহ বিভিন্ন খাবার ফেরি করে বিক্রি করতেন। তার মিষ্টি ব্যবহার, হাসিমুখ এবং সৎ কর্মজীবনের জন্য তিনি ছিলেন সবার আপনজন।
মুল্লুক আলী শুধুমাত্র একজন বিক্রেতা ছিলেন না; তিনি ছিলেন এলাকার মানুষের হাসি-আনন্দের একটি অংশ। তাকে প্রতিদিন এলাকায় পণ্য নিয়ে ঘুরতে দেখাটা ছিল সবার জন্য খুব স্বাভাবিক বিষয়। আজ সেই চেনা দৃশ্য আর দেখা যাবে না, যা এলাকার মানুষকে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে।
চক লক্ষীপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস বলেন,"মুল্লুক আলী ভাই আমাদের শৈশব থেকে দেখেছি। তিনি শুধু খাবার বিক্রি করতেন না, তার সঙ্গে গল্প করতেও ভালো লাগত। তিনি আমাদের জীবনের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাকে হারিয়ে আমরা এক বিশাল শূন্যতা অনুভব করছি।"
স্থানীয় তরুণ মোহাম্মদ রফিক বলেন,"আমরা ছোটবেলায় তার কাছ থেকে আইসক্রিম কিনতাম। তার মুখের মিষ্টি হাসি কখনও ভুলতে পারব না। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও পরিশ্রমী মানুষ।"
গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি হিমেল আলী বলেন,"মুল্লুক আলী শুধু একজন ব্যবসায়ী ছিলেন না, তিনি আমাদের সকলের প্রিয়জন ছিলেন। তার মতো সহজ-সরল মানুষ এই যুগে খুবই বিরল। তার চলে যাওয়া আমাদের সবার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।"
মুল্লুক আলী তার জীবনের বেশিরভাগ সময় পরিশ্রম করে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো কারও সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেননি। তার হাসিমুখে কথা বলার দক্ষতা ও সহনশীলতা এলাকার মানুষের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবে।তার মৃত্যুর খবর শুনে এলাকার মানুষ ভেঙে পড়েছে। সকলে তার জন্য দোয়া করছেন।
মুল্লুক আলী ভাইয়ের চলে যাওয়া আমাদের জীবনের একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি। আমরা সবাই দোয়া করি মহান আল্লাহ যেন তার সকল গুনাহ ক্ষমা করে তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।
No comments