রুস্তমপুর-আড়ানী রোডে বেপরোয়া ট্রাক, আতঙ্কে এলাকাবাসী
রুস্তমপুর-আড়ানী রোডে বেপরোয়া ট্রাক, আতঙ্কে এলাকাবাসী |
আব্দুল মতিন,চারঘাট, রাজশাহী:
রাজশাহীর চারঘাট-বাঘা উপজেলা আড়ানী রুস্তমপুর গ্রামের সরু রাস্তাটি এখন এলাকাবাসীর জন্য এক চরম বিপদের স্থানে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ভারী ট্রাকগুলো অত্যন্ত দ্রুতগতিতে চলাচল করছে। এর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় গুয়াবাড়ি গ্ৰামের বাসিন্দা মোঃ দুলু সরদার বলেন, “রাস্তাটি আমাদের গ্রামের প্রাণ। এখান দিয়ে কৃষি ফসল, গবাদিপশু ও স্কুলগামী বাচ্চারা চলাচল করে। কিন্তু ট্রাকগুলোর বেপরোয়া গতির কারণে আমরা প্রতিনিয়ত ভয় নিয়ে চলাফেরা করি। মনে হয় না, এটা একটি গ্রামের রাস্তা। রাতেও ট্রাকের শব্দে ঘুমাতে পারি না।”
একই গ্রামের বাসিন্দা আছিয়া বেগম নামে এক গৃহিণী বলেন, “আমাদের শিশুদের আমরা বাড়ির বাইরে যেতে দিই না। কারণ রাস্তায় একবার উঠলে আর বাঁচার আশা থাকে না। ট্রাকগুলো যেন গ্রামের সড়ক নয়, শহরের ফাঁকা মহাসড়কে চলছে।”
রাস্তাটি দিয়ে স্কুলগামী শিশুদের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করে শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। গত কয়েক মাসে একাধিকবার দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে। এটা আর সহ্য করা যাচ্ছে না।”
এলাকাবাসীর দাবি, ট্রাকগুলোর গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তারা চাচ্ছেন রাস্তায় স্পিড ব্রেকার বসানো, ট্রাকচালকদের সচেতন করা, এবং প্রয়োজনীয় নিয়ম-কানুন প্রণয়ন।
তবে এখন পর্যন্ত এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। এক বৃদ্ধ গ্রামবাসী আব্দুল করিম বলেন, “আমরা চাই, এমন কিছু করার আগে প্রশাসন নিজেই বিষয়টি লক্ষ্য করুক। কিন্তু যদি তাতেও সমাধান না হয়, তাহলে সবাই মিলে অভিযোগ করতে বাধ্য হবো।”
স্থানীয় যুবক এনামুল হক বলেন, “এখনো আমরা অপেক্ষা করছি। কারণ আমরা চাই, বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান হোক। তবে প্রশাসন যদি দ্রুত উদ্যোগ না নেয়, তাহলে এলাকার সবাই মিলে একসঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এলাকাবাসী আশা করছেন, প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এই সমস্যার সমাধান করবে এবং রাস্তাটিকে দুর্ঘটনামুক্ত করবে। তবে এরই মধ্যে দ্রুত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, এলাকাবাসী বড় ধরনের আন্দোলনে নামারও প্রস্তুতি নিচ্ছে।#
No comments